নীলফামারী: উত্তরের জনপদ নীলফামারীর চিলাহাটি থেকে ঢাকা রেলপথে চালু হচ্ছে আরও একটি আন্তঃনগর ট্রেন। ট্রেনটির নামকরণ নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন করে আলোচনা।
কখনো নীলফামারী এক্সপ্রেস, তো কখনো চিলাহাটি এক্সপ্রেস হবে- শোনা যাচ্ছে এমনটাই।তবে আগামী ৪ জুন ট্রেনটি উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী এর নামকরণ করবেন বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। আর এ নিয়েই নীলফামারী জেলা শহরে শুরু হয়েছে আন্দোলন।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) দুপুরে নীলফামারী জেলাবাসীর ব্যানারে সদর রেলস্টেশন চত্বরে দুই ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালিত হয়।
এ সময় রাজশাহী থেকে চিলাহাটিগামী আন্তঃনগর তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১৫ মিনিট আটকে রাখা হয়। সেই সঙ্গে নতুন আন্তঃনগর ট্রেনের নাম ‘নীলফামারী এক্সপ্রেস’ পুনর্বহালের দাবি জানায় আন্দোলনকারীরা।
এর আগে বুধবার (৩১ মে) দুপুরে নীলফামারী জেলাবাসীর ব্যানারে শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন স্থানীয়রা। পরে একই দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি দেন তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আরিফা সুলতানা লাভলী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেইফ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রাসেল আমিন স্বপন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুল, ছাত্রনেতা মাহমুদ হাসান অয়ন, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মিজানুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বিভিন্ন উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, উত্তরের জেলা কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকা চলাচলকারী ট্রেনের নাম কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস, লালমনিরহাট থেকে চলা ট্রেনের নাম লালমনি এক্সপ্রেস, রংপুর থেকে চলা ট্রেনের নাম রংপুর এক্সপ্রেস, পঞ্চগড় থেকে চলা ট্রেনের নামকরণ হয়েছে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস। অতএব নীলফামারী রুটে নতুন আন্তঃনগর ট্রেনের নাম হবে ‘নীলফামারী এক্সপ্রেস’।
একই সঙ্গে তারা নতুন ট্রেনে নীলফামারী জেলাবাসীর জন্য ৮০ শতাংশ আসন বরাদ্দ করার দাবি জানান।
এ বিষয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, চিলাহাটি-ঢাকা রেলপথে নতুন আন্তঃনগর ট্রেন (দিবা) চলাচল শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে নতুন ট্রেনটির পরীক্ষামূলক চলাচল (ট্রায়াল) সম্পন্ন হয়েছে।