রংপুরে শহীদ জিয়ার শাহাদাৎ বার্ষিকীতে যুবদলের নানা আয়োজনে দিনব্যাপী কর্মসূচি

মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম)-এর ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে রংপুর মহানগর যুবদলের উদ্যোগে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার (৩০ মে) সকাল থেকে শহরজুড়ে আয়োজন করা হয় কর্মসূচির সূচনা। নগরীর ৬টি থানা ও ৩৩টি ওয়ার্ডজুড়ে মাইকে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও শহীদ জিয়ার বিভিন্ন সময়ের ভাষণ প্রচার করা হয়। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয় এবং অনেকে বাড়ির বাইরে এসে বক্তৃতা শুনতে থাকেন।

শহরের বিভিন্ন মসজিদে বাদ জুমা শহীদ জিয়ার রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এসব দোয়া মাহফিলে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মুসল্লিরাও অংশগ্রহণ করেন।

বিকেলে রংপুর টাউন হল চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় প্রধান কর্মসূচি—বিশেষ দোয়া মাহফিল ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ উন-নবী ডন। তিনি তার বক্তব্যে শহীদ জিয়ার জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন,

শহীদ জিয়াউর রহমান ছিলেন এক মহান দেশপ্রেমিক, যিনি জাতিকে স্বাধীনতা দিয়েছেন, গণতন্ত্র ফিরিয়েছেন এবং বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক পথ রচনা করেছেন। আমরা তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে কাজ করে যাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক নুরুন্নবী চৌধুরী মিলন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জহির আলম নয়ন, সদস্য সচিব আতিকুল ইসলাম লেলিন এবং কোতোয়ালী থানা যুবদলের আহ্বায়ক ও মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াহিদ মুরাদ।

বক্তারা শহীদ জিয়ার রাষ্ট্রনায়কসুলভ গুণাবলি, দেশপ্রেম, উন্নয়ন চিন্তা ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার কথা স্মরণ করেন। পরে তিন শতাধিক দুস্থ, গরীব ও পথশিশুর মাঝে উন্নতমানের রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়। এতে এলাকার সাধারণ মানুষ ও সুবিধাবঞ্চিতরা খুবই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের যুবদল নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পুরো কর্মসূচিটি অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়।

যুবদল নেতৃবৃন্দ জানান, শহীদ জিয়ার আদর্শকে বুকে ধারণ করে তারা রংপুরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাবেন এবং ভবিষ্যতেও সমাজসেবা ও মানবিক কাজ অব্যাহত রাখবেন।