তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবীতে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ৪৮ ঘন্টার কর্মসূচী

১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, দুপুর ২:১৮ সময়
Share Tweet Pin it
[তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবীতে  তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ৪৮ ঘন্টার কর্মসূচী]

নিজস্ব প্রতিবেদক:

তিস্তা নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যে সিদ্ধান্ত তা নিয়ে আপত্তি তুলে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক, বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী   আসাদুল হাবীব দুলু বলেছেন, আমরা চাইনা তিস্তায় ভাঙ্গন রোধে বিক্ষিপ্তভাবে জনগণের ট্যাক্সের টাকা অপচয় করা হোক । এর আগে কিছু কিছু কাজ করা হয়েছে যেটা কাজে লাগেনি। আমরা দাবি উচ্চারণ করেছি, মহাপরিকল্পনার মাধ্যমে এই কাজটি সম্পন্ন হোক। কোন বিক্ষিপ্ত কাজ নয়। তাই এই আন্দোলন কোন দল ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর আন্দোলন না। এটি সকল মানুষের, রংপুরের মানুষের আন্দোলন।  শনিবার ( ১৫ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রংপুরের একটি হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলনে এই কথা বলেন তিনি।

এসময় রংপুর মহানগর বিএনপির আহবায়ক সামসুজ্জামান সামু, সদস্য সচিব মাহফুজ উন নবী ডন, জেলা বিএনপির সাইফুল ইসলাম,সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু, কাউনিয়া উপজেলা  বিএনপির সভাপতি এমদাদুল হক ভরসা, রংপুর  সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরপিইউজে) সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক সহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

আসাদুল হাবীব দুলু বলেন, জনগনের অর্থ অপচয় না করে বরং বিলম্ব হলেও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং তিস্তা পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে সম্বিলিতভাবে করতে হবে।   আগামী ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি তিস্তা পাড়ে সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হবে। এই কর্মসূচীতে বিএনপি মহাসচীব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও  ভার্চুয়ালী যোগ দিবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

আসাদুল হাবীব দুলু বলেন, ভারতের কাছে তিস্তার পানি নয়, ক্ষমতা চেয়েছেন পতীত শেখ হাসিনা। দীর্ঘদিন যাবত  আমরা বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছি।  পতিত সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে রংপুর অঞ্চলের মানুষের আকাঙ্ক্ষার  দাবিটি কখনোই গুরুত্ব দেননি। বরং সাংবাদিকবৃন্দ তিস্তা নদীর চুক্তির স্বাক্ষর হবে কিনা তা জানতে চাইলে প্রতিবারই তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন,  তিস্তা নদী ও এর অববাহিকার মানুষ রক্ষা ও নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে আমাদের এই আন্দোলন। 

দুলু বলেন,  তিস্তা মহাপরিকল্পনা একটি প্রকল্প ছিল। এটিতে চীন অর্থায়ন করতে চেয়েছিল। এর আওতায় ছিল-স্যাটেলাইট শহর, হাউজিং, ইকোনোমিক্যাল জোন নির্মাণ। এটি পর্যটন এলাকা হিসেবে ঘোষণারও কথা ছিল। ২০১৬ সালে এর সমীক্ষাও হয়েছিল। কিন্তু ভারতের আপত্তির কারণে বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা অনতিবিলম্বে ওই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন চাই।

তিনি বলেন, তিস্তা নদী একসময় সুখ-সমৃদ্ধির উৎস ছিল। এখন তা আর নেই, তিস্তা এখন উত্তরাঞ্চলের দুঃখের কারণ। উচ্ছল জলধারার এই নদীর পানি এখন হাঁটুর নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তাই তিস্তা নদী ও এর অববাহিকার মানুষ রক্ষায় পানির ন্যায্য হিস্যা আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি।

এই কর্মসূচী ' জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে তিস্তা নদীর কাউনিয়া সেতু, মহিপুর সেতু এবং তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টসহ লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও নীলফামারী-এই পাঁচ জেলার ১১ পয়েন্টে তাঁবু খাটিয়ে একই সময়ে এই কর্মসূচি পালন করা হবে।

তিস্তাপাড়ের মানুষের জীবন কাহিনি অর্থাৎ তাদের আনন্দ-বেদনার বিষয়গুলো নাটক, সংগীতের মাধ্যমে দুদিনব্যাপী তুলে ধরা হবে, যা মানুষকে সংগঠিত