বীরগঞ্জে পাঁচ দফা দাবীতে আলুচাষী ও আলু ব্যবসায়ীদের সড়ক অবরোধ

১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, দুপুর ৩:২২ সময়
Share Tweet Pin it
[বীরগঞ্জে পাঁচ দফা দাবীতে আলুচাষী ও আলু ব্যবসায়ীদের সড়ক অবরোধ]

দিনাজপুর প্রতিনিধি - দিনাজপুরের বীরগঞ্জে পাঁচ দফা দাবীতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করেছেন আলুচাষী ও আলু ব্যবসায়ীরা।বীরগঞ্জের শহিদ মিনার চত্তরে ১৩ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় আলু চাষী ও ব্যবসায়ী সমিতি লিঃ এর আয়োজনে হঠাৎ কোল্ড ষ্টোরেজে ভাড়া বাড়ার প্রতিবাদে সমাবেস ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে তারা আলু ফেলে দিয়ে ঢাকা-পঞগড় মহাসড়ক অবরোধ করে। কৃষকেরা ২ ঘন্টাব্যাপী রাস্তায় আলু ঢেলে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। সংবাদ পেয়ে বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে এলাহী, বীরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল গফুর ঘটনাস্থলে এসে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন।

আলু চাষী ও ব্যবসায়ী সমিতি সভাপতি আব্দুল মালেক মানববন্ধনে জানান, গত কয়েকবছর থেকে তারা আলু সংরক্ষণে নানা ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এতে করে আলু চাষী ও ব্যবসায়ীগণ আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পুঁজি হারিয়েছেন। তাই, গত দুই বছরে আলু উৎপাদনে আলু চাষীগণ আলু চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন, ফলে দেশে আলুর ঘাটতি দেখা যায় এবং আলুর দাম অনেক বেড়ে ভোক্তার নাগালের বাহিরে চলে যায়। চলতি মৌসুমে আলু উৎপাদনের জন্য আলু চাষীগণ বেশি দামে জমি লীজ নিয়ে বীজ আলু এবং সার কিনে আলু আবাদ করেছেন। চলতি মৌসুমে আলু আবাদ বেশী হওয়ায় হিমাগার মালিকগণ আলু সংরক্ষনে ভাড়া বাড়ানোর দুরভিসন্ধি করছেন। বাধ্য হয়ে তারা রাস্তায় নেমেছেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ধলু, সাবেক ইউপি সদস্য আনসারুল ইসলাম, কৃষক শফিকুল ইসলাম প্রমূখ।

ব্যবসায়ী সমিতি সাধারন সম্পাদক হর সুন্দর বর্মন বলেন, কোল্ড ষ্টোরেজে ভাড়া বাড়ার প্রতিবাদে আমরা ৩ ফেব্রুয়ারী জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কৃষি বিভাগ সহ বিভিন্ন জায়গায় আবেদন করেও কোন প্রতিকার না পেয়ে বাধ্য হয়ে আজ এই প্রতিবাদ সমাবেস ও মানববন্ধন।

আলু চাষীদের দাবীগুলো হলো কোল্ড ষ্টোরেজে প্রতি বস্তার বিপরীতে ন্যায্য ভাড়া নির্ধারণ, অহেতুক হয়রাণী বন্ধ, আলু শুকানোর জন্য শেড চার্জ ফ্রী বা নামমাত্র করা, আলু সংরক্ষণের জন্য হিমাগার মালিকগণ যে ঋণ প্রদান করেন, তা ব্যাংকের সুদের হারের চেয়ে ২% এ চেয়ে বেশি নির্ধারণ না করা এবং সংরক্ষিত আলু পঁচে গেলে বা স্টোরেজ কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে নষ্ট হলে তৎকালিন বাজার অনুযায়ী সংরক্ষণকারীকে মূল্য পরিশোধ করা।অবরোধ ও প্রতিবাদ সমাবেশে আলুচাষীরা সমস্যা নিরসনে ৭দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে রাস্তা ছেড়ে দেন।