টানা কয়েকদিন ধরে সূর্যের দেখা নেই, মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে গাইবান্ধা। কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সবচেয়ে বেশি ভুগছেন শিশু ও বয়স্করা। শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলার হাসপাতালগুলোতে রোগীর ভিড় বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। এরই মধ্যে তীব্র শীতের কারণে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে দুই বৃদ্ধের।
নিহতরা হলেন— নইমুদ্দিন শেখ (৬০)। তিনি সাঘাটা উপজেলার টেপা পদুম শহর গ্রামের লালু শেখের ছেলে এবং জুয়েল মিয়া (৫৫)। তিনি পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর কাজিরবাজার এলাকার মাহফুজার রহমানের ছেলে।
শুক্রবার বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আসিফ।
এর আগে একই দিনে সকালে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মৃত্যুবরণ করেন।
ডা. আসিফ জানান, শীতজনিত রোগীদের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। শিশুরা মূলত ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি-কাশি নিয়ে ভর্তি হচ্ছে, আর বয়স্কদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট, ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস ও নিউমোনিয়ার মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকদের আপ্রাণ চেষ্টা সত্ত্বেও দুই বৃদ্ধকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও জানান, টানা তিন দিন সূর্যের দেখা নেই, বাতাসের আর্দ্রতা বেশি হওয়ায় শীতের তীব্রতা ভয়াবহ আকার নিয়েছে। ফলে হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে।
এদিকে শহরের হাসপাতালগুলোতে কিছুটা চিকিৎসা সুবিধা মিললেও গ্রামাঞ্চলের অবস্থা আরও ভয়াবহ। অনেক দরিদ্র মানুষ শীত নিবারণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় ঠান্ডাজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন। বিশেষ করে, দরিদ্র পরিবারগুলোর শিশুরা এবং অসহায় বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম হোসেন বলেন, শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। তবে তিনি বিত্তবান ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো দ্রুত শীতবস্ত্র বিতরণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।