উত্তরের জেলা দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা হিমালয়ের নিকটবর্তী হওয়ায় শীতল হাওয়ার প্রবাহ পরিস্থিতিকে আরো কঠিন করে তুলেছে। কনকনে ঠাণ্ডা, হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সকাল থেকে দুপুর ১২টা নাগাদ সূর্যের দেখা না মেলায় শীতের তীব্রতা খুব বেড়েছে। শীতের তীব্রতায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ।দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৯% এবং গত ২৪ ঘণ্টায় বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় মাত্র ৩ কিলোমিটার।দোকান শ্রমিক শফিউল ইসলাম বলেন, ‘সকাল ৯টায় কাজে আসতে হয়। ঠাণ্ডায় অনেক কষ্ট হয়, তবে কাজ না করলে খাব কী? জীবন তো থেমে থাকে না।রিকশাচালক এনামুল হক বলেন, ‘শীতে মানুষ রিকশায় উঠতে চায় না। তারপরও রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। কামাই না করলে ঘরে খাওয়ার ব্যবস্থা হবে কীভাবে?শীতের তীব্রতা এবং গরম কাপড়ের অভাবে ছিন্নমূল ও হতদরিদ্র মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। খোলা আকাশের নিচে আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণ থাকার চেষ্টা করছেন অনেকে।শিশুরা ঠাণ্ডাজনিত অসুস্থতায় ভুগছে, আর বয়স্কদের জীবন আরো কঠিন হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এমন শৈত্যপ্রবাহে দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো অত্যন্ত জরুরি। প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর প্রতি শীতবস্ত্র ও ত্রাণ বিতরণের কার্যক্রম বাড়ানোর আহ্বান জানান তারা।