দেশি নিম্নস্তরের সিগারেটে ১২% শুল্ক বৃদ্ধি বৈষম্যমূলক

১২ জানুয়ারী ২০২৫, রাত ৯:২৯ সময়
Share Tweet Pin it

দেশি নিম্নস্তরের সিগারেটে ১২% শুল্ক বৃদ্ধি বৈষম্যমূলক

বিদেশি সিগারেটে নামমাত্র ২ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করা হলেও ধুঁকতে থাকা দেশীয় উদ্যোক্তাদের নিম্নস্তরের সিগারেটে ১২ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। একক অর্থবছরে এমন শুল্ক বৃদ্ধিকে ‘চূড়ান্ত বৈষম্য ও আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন ন্যাশনাল সিগারেট ম্যানুফ্যাকচারার অ্যাসোসিয়েশনের (এনসিএমএ) সাধারণ সম্পাদক নাজমুন নাহার লাকি।

রবিবার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

লাকি বলেন, ‘প্রায় ১০ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা দেশীয় সিগারেট কম্পানির সঙ্গে জড়িত।সম্প্রতি এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে নিম্নস্তরের সিগারেটে এক ধাপে ৫০ থেকে ৬০ টাকা মূল্য ও ৭ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। চলতি অর্থবছরে এই খাতে দুই দফায় মোট ১৫ টাকা এবং ৯ শতাংশ কর বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা দেশের সিগারেটশিল্পের ইতিহাসে কখনো ঘটেনি।’

 

সিগারেট খাতে অযৌক্তিক করনীতি সংস্কারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নিম্নস্তরে দেশীয় কম্পানির জন্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ঘোষিত মূল বাজেট অনুযায়ী ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বলবত্ রাখতে হবে। এ ছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন অধ্যাদেশ অনুযায়ী বহুজাতিক কম্পানিগুলোর জন্য ঘোষিত ৬৭ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আহরণ কঠিনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, দেশে সিগারেটের বাজার প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ খাতে প্রায় ৩৮ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। বিগত ১০ বছরে বহুজাতিক কম্পানির আধিপত্যে প্রায় সর্বস্বান্ত হয়ে ব্যবসা বন্ধের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো।

সংগঠনটির অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট নীতি কৌশল অনুযায়ী বাজারের ভারসাম্য এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিম্নস্তরে শুধু দেশীয় মালিকানাধীন কম্পানির জন্য সংরক্ষিত রেখে কম্পানিগুলোর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা ও সিগারেট খাতে দেশীয় শিল্পোদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ সুরক্ষা ও বাজারে সুষম বণ্টন ব্যবস্থা আনার জন্য প্রতিযোগিতা আইন-২০১২ বাস্তবায়ন করা।