দুবাইসহ বিভিন্ন দেশের অভিজাত শহরে ট্রান্সকমের সিমিন ও ছেলের বিপুল সম্পদ

৮ জানুয়ারী ২০২৫, দুপুর ১০:৫৯ সময়
Share Tweet Pin it

দুবাইসহ বিভিন্ন দেশের অভিজাত শহরে ট্রান্সকমের সিমিন ও ছেলের বিপুল সম্পদ

পাচারের টাকায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের অভিজাত শহর দুবাইয়ে ট্রান্সকম গ্রুপের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। গ্রুপটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমান ও তার ছেলে ট্রান্সকম গ্রুপের হেড অব স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন যারাইফ আয়াত হোসাইনের নামে অন্তত ১৯ কোটি টাকা মূল্যের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে।

 

আছে দামি গাড়িও। অনুসন্ধান বলছে, দেশ থেকে অর্থ পাচার করে দুবাইসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অভিজাত শহরগুলোতে তারা কিনেছেন বিপুল সম্পদ।

 

ট্রান্সকমের সিমিন ও ছেলের বিলাসী ফ্ল্যাট দুবাইয়ের দ্বীপে অনুসন্ধানে জানা গেছে, দুবাইয়ের অত্যন্ত পরিচিত ও আভিজাত্যে মোড়ানো কৃত্রিম দ্বীপ হলো পাম জুমেইরা। এখানকার সর্বাধুনিক, সমুদ্রতীরবর্তী এবং অত্যন্ত ব্যয়বহুল সড়ক ক্রিসেন্ট রোডের বালকিস রেসিডেন্সে অবস্থান সিমিন রহমান ও তার ছেলের অ্যাপার্টমেন্ট। স্থানীয় সূত্র জানায়, তাদের এই অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য ৫০ লাখ ৭০ হাজার দিরহাম, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৯ কোটি টাকা। বিদেশে এই বিলাসী সম্পদ কেনার বিষয়ে কোনো তথ্য জানে না বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিছু দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে বিদেশে বিনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মোট ১৭টি প্রতিষ্ঠান এই অনুমোদন পেয়েছে। তবে এ তালিকায় নাম নেই ট্রান্সকম গ্রুপের। প্রতিষ্ঠানের সিইও সিমিন রহমান ও তার ছেলে যারাইফ আয়াত হোসাইনের নামে বিদেশে থাকা সম্পদ অবৈধ কিংবা পাচারের টাকায় কেনা।

জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু নির্দিষ্ট খাতে বিদেশে অর্থ পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজ করেছে, যাতে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালনা করতে পারে। এয়ারলাইনস এবং তথ্য-প্রযুক্তি (আইটি) খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ছাড়াই নির্দিষ্ট পরিমাণ লেনদেন করতে পারে। তবে এসব খাতে ট্রান্সকম গ্রুপের কোনো ব্যবসা নেই।