লালমনিতে ভুট্টার বীজে প্রতারণা, হতাশ কৃষকরা
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, বিকাল ৭:৪০ সময়
লালমনিতে ভুট্টার বীজে প্রতারণা, হতাশ কৃষকরা লালমনিতে ভুট্টার বীজে প্রতারণা, হতাশ কৃষকরা লালমনিতে ভুট্টার বীজে প্রতারণা, হতাশ কৃষকরা
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বিজেতা সীডস কোম্পানীর বাহুবলী ৫৫৫ ভুট্টার বীজ কিনে ভয়াবহ প্রতারণার শিকার হয়েছেন কয়েক শতাধিক কৃষক। বীজ থেকে চারা না হওয়ায় দিশেহারা কৃষকদের এখন কেবল হতাশার কান্নাই অবলম্বন। এতে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা।
সরেজমিনে হাতীবান্ধার গোতামারী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কৃষকদের জমিতে শুধু ধূ-ধূ মাটি। বীজ রোপণের পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও চারার দেখা নেই।
কৃষক মুজিবুল হক বলেন, আমি দইখাওয়া হাট থেকে বাহুবলী ৫৫৫ ভুট্টার বীজ কিনে রোপণ করেছি। কিন্তু বীজ থেকে একটি চারাও জন্মায়নি। বিষয়টি দোকানদারকে জানালেও কোনো সমাধান পাইনি। এখন নতুন বীজ কিনতে হবে, যা আমার জন্য খুব কঠিন।
অন্যদিকে, ১২ বিঘা জমিতে বর্গা নেওয়া কৃষক নার্গিস নাহার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার সব জমিতেই বাহুবলী ৫৫৫ বীজ দিয়েছি, কিন্তু কোনো চারা হয়নি। এত বড় ক্ষতির পর আমি কীভাবে চলবো?
এদিকে, লিটন সীড স্টোরের মালিক আবুল কাসেম বলেন, বীজের সমস্যার বিষয়ে ডিলার আল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি, কিন্তু কোনো সাড়া পাচ্ছি না।
ডিলার আল আমিন অবশ্য দাবি করেছেন, যাদের বীজে সমস্যা হয়েছে, তাদের নতুন বীজ দেওয়া হয়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বীজের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ভারপ্রাপ্ত) দুলাল হোসেন জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। কৃষি কর্মকর্তাকে তদন্ত করে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলা হবে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা অভিযোগ তুলেছেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিম্নমানের বীজ সরবরাহ করে কৃষকদের আর্থিক ক্ষতির মুখে ফেলছেন।