দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ২ জন দালাল ও মালিকপক্ষের ২ জনকে আটক করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরামপুর উপজেলার ছাত্র রা । পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আটকদের দুই জনকে ১মাস মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও দু জনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা সহ ইউনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে এক প্রতিষ্ঠানকে সিলগলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭আগস্ট) দুপুরে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত তাসনীম আওন।
এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার দিওড় ইউনিয়নের বিজুল কঞ্চিগাড়ী গ্রামের মৃত জাফর আলীর ছেলে মোফাজ্জল হোসেন(৪০), ও খানপুর ইউনিয়নে ঝগুপাড়া গ্রামের মোজাফফর রহমানের ছেলে হাবিল মিয়া (২৭),। তারা পৌর শহরের নতুন বাজারের ইউনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মার্কেটিং পদে চাকুরী করতেন।
অর্থদন্ড মালিকপক্ষরা হলেন-নবাবগঞ্জ উপজেলার গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের সিম্না গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে আব্দুল হাই (২৫) ও বিরামপুর পৌরশহরের তৈয়বপুর গ্রামের শামিম মন্ডল(২৫)।
এছাড়াও অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ইউনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সিলগালা করা হয়েছে।
জানাযায়,দীর্ঘদিন যাবত বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে বেশ কিছু দলাল প্রবেশ করে আসছিল। সাধারণ মানুষের নিকট তাদের ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কথা বলে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষার কথা বলে তাদের নিজ-নিজ প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার দুপুরে পরীক্ষা নিরিক্ষার করার জন্য রোগী খোঁজে আসলে বিরামপুর উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্ররা তাদের আটক করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গোলাম রসুল রাখি বলেন, উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লোকজনদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসপাতালে প্রবেশ না করার জন্য একাধিক বার বলা হয়েছে। তারপরও তারা নিয়মিত যাতায়াত করতে থাকে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত তাসনীম আওন জানান, হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যাওয়ার খবর পেয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। আগামীতেও অভিযান অব্যাহত থাকবে।