কুড়িগ্রাম ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ছাত্রদের সহায়তায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়েছে। এ সময় হাসপাতালের ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখা মেয়াদোত্তীর্ণ ১১ ধরণের কিটস জব্দ করা হয়। সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে অভিযান চালানো হয়।
এদিকে, তদন্ত কমিটি গঠন করে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারীদের পক্ষ থেকে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে অভিযানের সময় ১১ ধরনের মেয়াদোত্তীর্ন প্যাথলোজি কিটস জব্দ করা হয়। এসব কিটস দিয়ে রোগীদের রক্ত, প্রসাবসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ফলাফল দেওয়া হয়। এসব কিটসের ২০২২-২৩-২৪ সালের মে মাস পর্যন্ত মেয়াদ থাকলেও সেগুলো দিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য মাহমুদুল হাসান লিমন বলেন, ‘হাসপাতালে বিভিন্ন অনিয়ম করা হয় রোগীদের সঙ্গে। এরকম সংবাদ আমরা প্রায়ই শুনে আসছি। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এসব অনিয়মের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেন না। এর আগেও আমরা এই হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে নানা অনিয়ম পেয়েছি। বরাবরের মতো আশ্বাস ছাড়া কিছুই মেলে না। তাই আমরা ছাত্রবৈষম্য আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
কুড়িগ্রাম ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সহকারী পরিচালক এএসএম মাসুম-উদ-দৌলা বলেন, ‘প্যাথলোজি কিটস পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য অপরিহার্য একটি উপাদান। মেয়াদোত্তীর্ণ সামগ্রী দিয়ে পরীক্ষা চালানো অপরাধ। ফ্রিজে গায়ে লেখা ২০২৫ সাল মেয়াদ। অথচ ফ্রিজের ভেতর থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া কিটস গুলো জব্দ করা হয়েছে। আমরা জব্দকৃত এসব সামগ্রী নষ্ট করব।’
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শাহিনুর রহমান সরর্দার শিপন বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক স্যারের নির্দেশে আমি অভিযানের সময় এখানে এসেছি।’
প্যাথলোজিতে থাকা মেয়াদোত্তীর্ণ কিটস ভুল বশত রাখা ছিল দাবি করে তিনি বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওবার আশ্বাস দেন।