রংপুরে এবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত ফল ব্যবসায়ী মেরাজুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোতোয়ালি আমলি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন নিহত মেরাজুলের মা আম্বিয়া খাতুন।
মামলায় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার উৎপল কুমার পাল, সহকারী পুলিশ কমিশনার আল ইমরান ও আরিফুজ্জামান, উপপরিদর্শক মামুন, গনেশ ও মজনু, রংপুর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর তোহিদুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়, গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে আন্দোলন চলাকালে নগরীর সিটি বাজারের সামনে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে শিক্ষার্থী-জনতা। এসময় আসামিদের গুলিতে নিহত হন মেরাজুল ইসলাম। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ গ্লাস অ্যান্ড সিরামিকসের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ-আল তাহির হত্যার ঘটনায় মামলা করা হয়। রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে নিহত তাহিরের বাবা আব্দুর রহমান বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ, সাবেক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানসহ ৪০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৩০০ জনকে।
অপরদিকে একই আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় আরও একটি মামলা হয়েছে। রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে নিহত আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে মেট্রোপলিটন তাজহাট ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।মামলায় পুলিশের সাবেক আইজি আবদুল্লাহ আল মামুন, রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, বেরোবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম মাহফুজ, দপ্তর সম্পাদক বাবুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ধনঞ্জয় কুমার টগর, তাজহাট থানার ওসি রবিউল ইসলাম, বেরোবি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতি ভূষণ রায়, বেরোবির সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মন্ডল, সহযোগী অধ্যাপক মশিউর রহমান, প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তা রবিউল হাসান রাসেল, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন, সহকারী পুলিশ কমিশনার আল ইমরান হোসেন, সহকারী পুলিশ কমিশনার আরিফুজ্জামান, বেরোবি ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও এএসআই আমিরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৩০-৩৫ জনকে।