করোনার সংক্রমণ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত না হলেও চিন্তিত স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রবিবার (২৬ জুন) রাজধানীর মহাখালীতে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রের (আইসিডিডিআরবি) কলেরা টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি করোনা নিয়েও কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। আমরা আতঙ্কিত না হলেও চিন্তিত। তবে সতর্ক অবস্থায় আছি। আমরা করোনা পরীক্ষার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা দ্বিতীয় ডোজ দেয়া প্রায় শেষ করেছি।
রবিবারের মধ্যে দেশের ৭০ শতাংশ নাগরিককে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শেষ হচ্ছে বলে জানান তিনি।
যারা এখনোকোভিড টিকার বুস্টার ডোজ নেননি, তাদের নিয়ে নেয়ার আহবান জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনেকেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আমাদের সচেতন হতে হবে। সবাইকেই মাস্ক পরতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপট কমলে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচে নেমে এসেছিলো। ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে এক পর্যায়ে ২৬ মার্চ তা একশর নিচে নেমে এসেছিলো।
গত ৫ মে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা নেমেছিলো ৪ জনে। শনাক্তের হার ১ শতাংশের নিচে ছিলো বেশ কিছু দিন। তবে গত ২২ মের পর থেকে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আবারো বাড়ছে।
রবিবার সকাল পর্যস্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১ হাজার ৬৮০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে দুইজনের।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের প্রায় সবাইকেই টিকার আওতায় এনেছি। তাতে সংক্রমণ এক শতাংশের নিচে চলে এসেছিলো। আমাদের মৃত্যু প্রায় শূন্যের কোঠায় ছিলো। কিন্তু এখন আবার সংক্রমণের হার ১৫ শতাংশে উঠে এসেছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার পর্যন্ত দেশে ১২ কোটি ৮৯ লাখের বেশি মানুষ কোভিড টিকার প্রথম ডোজ এবং তাদের মধ্যে ১১ কোটি ৯০ লাখের বেশি মানুষ দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছিলেন। আর তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ দিয়েছেন ২ কোটি ৮৬ হাজারের বেশি মানুষ।