ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ;
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বাণিজ্যিকভাবে মাল্টা চাষ করে সফল হয়েছেন তরুন মাল্টা চাষি তিতুমির হক। এ মৌসুমে মাত্র ৪ লক্ষ টাকায় মাল্টার বাগান থেকে ৬ লক্ষ টাকা আয়ের প্রত্যাশা করছেন তিনি। তার মাল্টা বাগান থেকে আগ্রহী হচ্ছেন এখানকার অনেক বেকার তরুন।
বন্ধুর পরামর্শে ও ইউটিউবে বিভিন্œ ভিডিও দেখে মাল্টা চাষের ভিডিও দেখে আগ্রহী হন তরুন উদ্যোগক্তা তিতুমির হক। গত ২০২১ সালে বগুড়া থেকে বারি জাতের মাল্টার চারা নিয়ে পৌর এলাকার তেতুলিয়াড়া গ্রামে ২ একর জায়গায় সাড়ে ৪ শতটি মাল্টার গাছ রোপন করেছেন তিনি। গত বছর প্রথম মাল্টার ফলন আসে তার গাছে। এবছর পুরিপূর্ণভাবে প্রতিটি গাছে থোকায় থোকায় মাল্টা ধরেছে। মাল্টার সাইজ বেশ বড় ও রসালো হওয়ায় এলাকায় ব্যপক আলোচনায় এসেছে তিতুমিরের মাল্টার বাগান। দেশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে মাল্টা ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা আসছেন তার বাগান দেখতে ও মাল্টা ক্রয় করতে।
বিরামপুর উপজেলা থেকে মাল্টা বাগান দেখতে আসা দর্শনার্থী শাকিল আহম্মেদ বলেন, তিতুমিরের মাল্টার বাগানের কথা শুনে মাল্টা বাগান দেখতে এসেছি। বাগানে মাল্টার প্রচুর ফলন হয়েছে। মাল্টা খেয়ে দেখলাম বেশ রসালো। এমন কথা বলেন স্থানীয় দর্শনার্থী তৌহিদুল ইসলাম।
দিনাজপুর সদর থেকে মাল্টা ক্রয় করতে আসা মতিয়ার রহমান বলেন, ফুলবাড়ীতে ভালো মাল্টা চাষ হয়েছে এমন খবর পেয়ে আমি গাড়ী নিয়ে মাল্টা কিনতে করতে এসেছি। এখানকার মাল্টার সাইজ ভালো এবং মাল্টার রস বেশি। দাম দরে বনে গেলে বেশি পরিমানে ক্রয় করবো।
মাল্টা চাষি তিতুমির বলেন, আমি অনেক দিন থেকে চিন্তা করছিলাম একটা মাল্টার বাগান করবো। কিন্তু মাল্টা চাষ কিভাবে করা হয় তা জানা ছিলোনা। পরে আমার নিকটতম বন্ধু ও কৃষি অফিসের পরামর্শে প্রায় সাড়ে ৪শত মাল্টা গাছের একটা বাগান করতে সক্ষম হই। গত বছর প্রায় সব গাছেই মাল্টা ধরলেও ফলন তেমন একটা ছিলো না। এবছর সব গাছেই প্রচুর পরিমানে মাল্টা ধরেছে। আশা করছি এযাবৎ যে পরিমান খরচ হয়েছে। সেই টাকা উঠে আসবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সাহানুর রহমান বলেন, ফুলবাড়ীতে প্রায় ৪৬ হেক্টর জমিতে লেবু জাতীয় ফলের চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে মাল্টা আছে ৩১ হেক্টর জমিতে। আমরা চাষিদের সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে আসছি। এবং তাদের মাল্টার চারা,রাসায়নিক সারসহ যাবতিয় সহযোগীতা করে আসছি। আমরা তিতুমিরের মাল্টার বাগানের সাথে নিয়োমিত ভাবে যোগাযোগ রক্ষা করেছি। সেখানে যখন যে ধরনের পরামর্শ লাগে তা দিয়ে আসছি।