হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ সচল যন্ত্রপাতি ব্যবহারের অভাবে পড়ে আছে। বাধ্য হয়ে অধিকাংশ রোগী বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে করছেন বিভিন্ন রোগের পরীক্ষা। নোংরা আর দুর্গন্ধযুক্ত পরিবেশের পাশাপাশি গড়ে উঠেছে দালালদের শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এছাড়াও, শয্যা ও চিকিৎসক সংকটসহ নানা সমস্যা রয়েছে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে। ফলে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।
রোগীদের অভিযোগ, হাসপাতালের বারান্দা ও মেঝের চারপাশে এতো ময়লা আর দুর্গন্ধ যে টিকে থাকা মুশকিল। টয়লেটগুলোতে নাকে রুমাল না ধরে প্রবেশ করা যায় না।
রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান, হাসপাতালের পুরুষ, নারী, শিশু, ডায়রিয়া এবং গাইনিসহ সবগুলো ওয়ার্ডেই বেডের সংকট প্রকট। সেই সঙ্গে পরিবেশও নোংরা। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ভেতরে ও বারান্দার মেঝেতে গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের। হাসপাতাল চত্বর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়েও উদাসীনতা লক্ষ্য করা গেছে কর্তৃপক্ষের। রোগী ও স্বজনের অতি প্রয়োজনীয় বাথরুমের অবস্থাও বেহাল। গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. মাহবুর হোসেন বলেন, ‘শূন্য পদে জনবল চেয়ে অসংখ্যবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তালিকা পাঠানো হয়েছে। গত জুলাই মাসে আবারও জনবল চেয়ে ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। হাসপাতালের সব সংকট নিরসন করার পাশাপাশি রোগীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।