তিস্তায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার নীচে পানি
গত দুদিনে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমা অতিক্রম করলেও এখন তা কমতে শুরু করেছে।
ফলে নীলফামারী ডিমলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে। আজ বুধবার দুপুরে দেশের বৃহত্তম সেচ
প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজে ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার।
যা স্বাভাবিকের (৫২.৬০ সেঃ মিঃ) চেয়ে ১০ সেঃ মিঃ নিচে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া বিভাগের বন্যা
পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।এর আগে গত সপ্তাহে পানি প্রবাহ কয়েক দফা
বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা ৩০ সেন্টিমিটার অতিক্রম করেছিল। গত দুদিন এক টানা বিপৎসীমা অতিক্রম
করে তিস্তায় পানি প্রবাহের ফলে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে।
পানিবন্দী এসব পরিবার কেউ কেউ বাঁধের ওপর পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
বর্তমানে তিস্তার পানি প্রবাহ বিপৎসীমার নিচে নেমে আসায় বন্যা পরিস্থিতিও কিছুটা উন্নতি ঘটেছে। ঘর
বাড়ি থেকে নেমে যেতে শুরু করেছে বন্যার পানি। এদিকে বন্যা কবলিত পরিবারগুলোর মাঝে সরকারিভাবে
ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। খালিশা চাপানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান কিঞ্জল জানান, বন্যা পরিস্থিতির
কিছুটা উন্নতি হলেও এখনো অনেক পরিবার পানিবন্দী অবস্থায় পড়ে আছে। মানুষজনের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে। নিম্ন
আয়ের লোকজনের কাজ না থাকায় তারা বিপাকে পড়েছে। গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন
বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা বলেন, মঙ্গলবার রাত থেকে কমতে শুরু করে তিস্তার পানি প্রবাহ।
বুধবার সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ও সকাল ১২টায় আরও কমে গিয়ে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ
দিয়ে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত হোসেন বলেন,
‘পানিবন্দী পরিবারগুলোর মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। প্রতি মুহূর্তে বন্যা পরিস্থিতির খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।