নিখোঁজের একদিন পরে ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈলের কাসুয়াডাঙ্গা তীরনই নদী থেকে দুই শিশুসহ মায়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা হলেন ওই গ্রামের আব্দুর রহিমের স্ত্রী নাসিমা খাতুন (৩০) ও শিশু সন্তান শাওন (৮) এবং সাফাত (৪)।
নাসিমার স্বামী আব্দুর রহিম এটিকে আত্নহত্যা দাবি করলেও, নাসিমার মা খালেদা বেগম এটিকে হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করছেন। খালেদা বেগমের দাবি, তার জামাই একজন জুয়াড়ু।জুয়া খেলে টাকা পয়সা নষ্ট করে। জুয়ার টাকার জন্য আমার মেয়েকে প্রায় অত্যাচার করত। এ কারণে সংসারে অশান্তি লেগেই ছিল।
পারিবারিক ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার নাসিমা তার দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে তীরনই নদীর তীরে ছাগল চরাতে যান।সেখানেই (নদীতে) তারা দুপুরের দিকে গোসল করেছেন বলে স্থানীয়রা জানান। পরে সন্ধা হলেও নাসিমাসহ তার দুই শিশুপুত্র বাড়িতে না ফেরায় নাসিমার স্বামীসহ তার পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজি শুরু করেন।
দীর্ঘ রাত পর্যন্ত নদী এলাকাসহ বিভিন্ন আত্নীয় স্বজনের বাড়িতে খোজাখুজি শেষে পরেরদিন (বুধবার) সকালে নাসিমার শ্বশুর সামসুল হক তীরনই নদীর ধারে নাসিমাসহ তার দুই শিশু সন্তানকে নদীর বালুর মধ্যে আটকা থাকা অবস্থায় দেখতে পান। পরে স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় মরদেহ নদী থেকে তোলা হয়।
মরদেহ উদ্ধারের সময় মায়ের শাড়ির আচল দিয়ে দুই শিশু সন্তানের শরীর বাধা ছিল বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।এদিকে মৃত নাসিমার মা খালেদা খাতুন এটিকে হত্যা দাবি করলেও নাসিমার স্বামী আব্দুর রহিম ও শ্বশুর সামসুল হক ঘটনাটি আত্নহত্যা বলে দাবি করছেন। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। হত্যা নাকি আত্নহত্যা!
জানতে চাইলে কাশিপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান বকুল বলেন, গত মঙ্গলবার থেকেই শিশুসহ তার মা নিখোজ হলে রাতে নদীতে অনেকবার খোঁজাখুজি করা হয়। আজ বুধবার সকালে দুই শিশুসহ তার মায়ের লাশ নদী থেকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে।