উঠেছে আঁটি গাছের আম কেজি চল্লিশ টাকা-দিনাজপুর জেলার ১৩ উপজেলার বাজারে উঠতে শুরু করেছে মৌসুমি ফল আম। তবে এসব আম আঁটি থেকে জন্ম নেওয়া গাছের। কলম করা গাছের ভালো জাতের হাঁড়িভাঙা, আমরুপালী, ফজলি ও নাগফজলি আম বাজারে আসতে এখনো দুই সপ্তাহর মতো সময় লাগবে। বৃহস্পতিবার (২ জুন) বিকেলে হিলি চারমাথা মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, ভ্যানে করে প্লাস্টিকের কার্টুনে আম সাজিয়ে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের কার্টুনে আছে বিভিন্ন জাতের আঁটি গাছের আম। ব্যবসায়ীরা বিরামপুর হাট থেকে এসব আম কিনে তা বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করছেন।
মূলত আমের আঁটি থেকে জন্ম নেওয়া গাছকে আঁটি গাছ বলা হয়ে থাকে। এসব গাছের আমে আগাম পাক ধরে। এসব আম খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনেই মিষ্টি হয়ে থাকে। তবে এর আঁটি বড় এবং শাঁষ কম থাকে।মৌসুমের শুরুতে আঁটি গাছের আম বাজারে আসায় এরপ্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরা ভালো সুস্বাদু ও মিষ্টি বলে ক্রেতাদের কাছে আম বিক্রি করছেন। আবার অনেক ক্রেতা বিক্রেতাদের কাছ থেকে আম কেটে খেয়ে তারপর কিনছেন। ব্যবসায়ীরা জানান, তারা মিশ্রি আম ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি, খুটি আম ৩০ টাকা ও আঁঠি আম ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।
হিলি চারমাথায় আম নিতে আসা লুৎফর রহমান বলেন, ‘আম কম-বেশি সবার প্রিয় ফল। আমার বাড়ির সবার এই ফলটির প্রতি অন্য রকমের আগ্রহ রয়েছে বাড়িতে দুইটি নাগফজলি আমের গাছ আছে। এখনও গাছগুলোর আম পাকার মতো হয়নি। এখানে আম দেখে ভালো লাগল। খেয়ে দেখলাম আমগুলো ভালোই মিষ্টি। তাই ৩০ টাকা দরে পরিবারের জন্য দুই কেজি আম নিলাম ‘
আম বিক্রেতা কবির হোসেন বলেন, ‘আমাদের বাড়ি নবাবগঞ্জে। বিরামপুর হাট থেকে এসব আম আমরা গৃহস্থর কাছ থেকে ২০ থেকে ৩০ টাকা দরে পাইকারি কিনে আনি। আমরা ছোট আম ব্যবসায়ী, বিভিন্ন হাট-বাজার থেকে পাইকারি হিসেবে কিনে বিক্রি করে বেড়ায়। ভালো জাতের আম এখনও পাওয়া যাচ্ছে না। আর কয়েকদিন পর এসব আম পাওয়া যাবে।উঠেছে আঁটি গাছের আম কেজি চল্লিশ টাকা