1. [email protected] : Live Rangpur :
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫৪ অপরাহ্ন

ঢাকা ওয়াশিংটন সংলাপ আজ

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২ জুন, ২০২২
  • ১৯৯ Time View
ঢাকা ওয়াশিংটন সংলাপ আজ
ঢাকা ওয়াশিংটন সংলাপ আজ

ঢাকা ওয়াশিংটন সংলাপ আজ-অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অর্থনৈতিক সংলাপ আজ বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হবে। এতে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহিরয়ার আলমও প্রতিনিধিদলে আছেন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জ্বালানি এবং পরিবেশবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি হোসে ডাব্লিউ ফার্নান্দেজ।

ওয়াশিংটনে দিনব্যাপী এ সংলাপে খাদ্য কৃষি সহায়তা, পোশাক শিল্প, জ্বালানি, ওষুধ, তথ্য-প্রযুক্তি, টেলিকম ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে। সংলাপে বাংলাদেশের শ্রম অধিকার পরিস্থিতি প্রাধান্য পেতে পারে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ‘ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক ফর প্রসপারিটি প্রসঙ্গ তুলতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত মাসে জাপান সফরকালে আইপিইএফপি ঘোষণা করেন। যুক্তরাষ্ট্র এই অর্থনৈতিক কাঠামোতে বাংলাদেশকে চায়।যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস গত মঙ্গলবার বলেছেন, ওই অর্থনৈতিক কাঠামো প্রণয়ন প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই মার্কিন কর্মকর্তারা এ বিষয়ে বাংলাদেশকে অবহিত করে আসছেন।

সংকটেও সম্ভাবনা দেখাচ্ছে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক খাত

ব্যাংকের মতোই গ্রাহকদের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ ও ঋণও দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখছে নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো (এনবিএফআই)। বেশির ভাগ এনবিএফআইয়ের প্রধান ব্যবসা লিজিং বা ইজারা দেওয়া। এ ছাড়া মেয়াদি ঋণ, হাউজিং ফাইন্যান্স, মার্চেন্ট ব্যাংকিং, ইকুইটি ফাইন্যান্সিং ও ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফাইন্যান্সিংয়ে বৈচিত্র্য আনছে এনবিএফআইগুলো। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে এনবিএফআইগুলো আরো বড় ভূমিকা রাখার সক্ষমতা রাখে।এ জন্য এনবিএফআইগুলোতে সুশাসন নিশ্চিত করা, তদারকি বাড়ানো, তারল্যের জোগান, উদ্ভাবনী ও বৈচিত্র্যপূর্ণ পণ্যের মাধ্যমে গ্রামমুখী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, মহামারির মধ্যে ২০২১ সালে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানত কিছুটা কমেছে। গত এক বছরের ব্যবধানে দেশের এনবিএফআইগুলোর সংগৃহীত আমানত ১.৪৬ শতাংশ কমেছে। গত ডিসেম্বর শেষে এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানতের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪২ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা। এর আগের বছর, অর্থাৎ ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এনবিএফআইগুলোর সংগৃহীত আমানতের পরিমাণ ছিল ৪৩ হাজার ৪২৪ কোটি টাকা।তবে আলোচিত এক বছরে এনবিএফআইগুলোর বিতরণ করা ঋণ বেড়েছে শূন্য দশমিক ৮৯ শতাংশ। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর বিতরণ করা ঋণ সুবিধার স্থিতি ছিল ৬৬ হাজার ৫৬৪ কোটি টাকা। ২০২১ সালের ডিসেম্বর ঋণের স্থিতি বেড়ে ৬৭ হাজার ১৬২ কোটি টাকায় উঠে আছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, এনবিএফআইগুলোর সংগৃহীত আমানতের ৯২.০৯ শতাংশই ঢাকা বিভাগের ভেতরের শাখাগুলোতে রয়েছে। এর পরেই চট্টগ্রামে আছে ৪.৮৮ শতাংশ।এ ছাড়া বিতরণকৃত ঋণের মধ্যে বেসরকারি খাতের ঋণ ছিল ৬৬ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা। আর সরকারি ঋণ ৩১৫ কোটি টাকা। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বেসরকারি ঋণ ছিল ৬৬ হাজার ১৫৯ কোটি টাকা। আর সরকারি ঋণ ছিল ৪০৪ কোটি টাকা।সবচেয়ে বেশি ঋণ গেছে শিল্প খাতে, প্রায় ৪০ শতাংশ। ব্যবসা ও বাণিজ্য খাতে ২২ শতাংশ, ভোক্তাঋণ ১৬ শতাংশ, নির্মাণ খাতে ১৪ শতাংশ, কৃষিতে ১ শতাংশ, যোগাযোগ খাতে ২ শতাংশ এবং অন্যান্য খাতে বাকি ৫ শতাংশ ঋণ বিতরণ করেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।আমানতের মতো ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে শীর্ষ অবস্থানে আছে ঢাকা বিভাগ। ৮৪ শতাংশ ঋণই ঢাকা বিভাগের ভেতরের শাখাগুলোতে রয়েছে। এর পরেই চট্টগ্রামে ১০ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, আগে অনেক ঋণের সুদের হার ১৬-১৭ শতাংশ ছিল। ব্যাংকের ঋণের সুদ ৯ শতাংশ নির্দিষ্ট করে দেওয়ার পর আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের সুদও কমেছে। বেশির ভাগ শাখা শহরাঞ্চলে, সারা দেশে এনবিএফআইগুলোর শাখা রয়েছে ২৯৬টি। এর মধ্যে শহরাঞ্চলে ২৭২ এবং গ্রামাঞ্চলে ২৪টি শাখা রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি সরকারি এনবিএফআইয়ের শাখা রয়েছে ৫৭টি। বেসরকারি ৩১টি এনবিএফআইয়ের শাখা রয়েছে ২৩৯টি। বিভাগের হিসেবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঢাকায় ১৬৯টি, চট্টগ্রামে ৪৫টি, খুলনায় ১৫টি, রাজশাহীতে ১৯টি, বরিশালে পাঁচটি, সিলেটে ১৯টি, রংপুরে পাঁচটি ও ময়মনসিংহে ১৯টি শাখা রয়েছেবাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে এখন ৩৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পাঁচ থেকে সাতটি অনিয়মের কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছে। বাকিগুলো বেশ ভালো আছে, কিন্তু দুর্বলগুলোর কারণে পুরো খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এই ধাক্কা সামলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে উদ্ধার করতে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ কাঠামো জোরদার করেছে। অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। একই সঙ্গে নীতি কাঠামোতে দেওয়া হয়েছে ব্যাপক ছাড়, যাতে দুর্বলতা কাটিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো উঠে দাঁড়াতে পারে।বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, আর্থিক খাতে তদারকি জোরদার করা হয়েছে। দুর্বল প্রতিষ্ঠানগুলোকে সবল করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যেসব অনিয়ম হয়েছে সেগুলোর বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, দেশের ব্যাংকগুলো স্বল্পমেয়াদি আমানত নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করছে। সে জন্য ব্যাংক খাতে বড় ধরনের অসামঞ্জস্য তৈরি হয়েছে। এ অসামঞ্জস্য দূর করতেই জন্ম হয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের।ফজলে কবির আরো বলেন, কিন্তু সমস্যা হলো, এনবিএফআইগুলোও তিন মাস মেয়াদি আমানত নিচ্ছে। তিন মাস মেয়াদি আমানত দিয়ে যদি ১০-১২ বছরের জন্য ঋণ দেওয়া হয়, তাহলে সংকট থেকেই যাবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এনবিএফআইগুলোকে অনেক বেশি বিশেষায়িত হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।তহবিল সংকট : আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট তহবিলের ৮৪ শতাংশই আসে ব্যাংক থেকে। বাকি ১৬ শতাংশ সঞ্চয়ীদের আমানত ও অন্যান্য উৎস থেকে আসে। অর্থাৎ তহবিলের জন্য তাদের ব্যাংকের ওপরই ভরসা করতে হচ্ছে। লিজিং কম্পানিগুলো ব্যাংক থেকে স্থায়ী আমানত, মেয়াদি আমানত ও কলমানির মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করত। দুই বছর ধরে বেশ কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যাংক থেকে নেওয়া আমানত ও কলমানিতে নেওয়া ধার সময়মতো পরিশোধ করতে পারছিল না। পরে বাধ্য হয়ে দফায় দফায় এগুলোর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তার পরও তা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। এমন পরিস্থিতিতে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © Rangpur24.com 0176414680 [email protected]