নীলফামারীতে কাঁচা বাজারে প্রতিটি শাক-সবজির দাম বেড়েই চলছে। বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসের দ্বিতীয় দিনে জিনিসপত্রের দাম এখানকার বাজারে ১০ থেকে ২০ টাকা কেজিতে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একদিনের ব্যবধানে শনিবার (২৫ মার্চ) নীলফামারীর বাজারে পটল, বেগুন, চিচিঙ্গা ও মরিচের দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। এই বাজারে গতকাল শুক্রবার পটলের কেজি ছিলো ৫০ টাকা। আজকে এই সবজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। কালো রঙের বেগুনের দাম ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। চিচিঙ্গার দাম বেড়েছে ১০ টাকা। এই খাদ্য পণ্যটির বর্তমান বাজার দর রয়েছে ৬০ টাকা।
এদিকে, মুরগির দাম কমতে শুরু করেছে। এখানকার বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা কেজি দরে। গতকাল দাম ছিলো ২৫০ টাকা। এছাড়াও দাম কমেছে সোনালী মুরগির। এই মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকা দরে।
তবে আলু ও পেঁয়াজের দাম আগের মতোই আছে।
ডোমার পৌর এলাকার রিকশা চালক ময়নুল ইসলাম বলেন, সারাদিন রিকশা চালিয়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা আয় করি। এ আয়ে মাছ-মাংস কিনা তো দূরের কথা, চাল ও কাঁচাবাজার কেনায় মুশকিল। আর যেভাবে প্রতিদিন দাম বাড়ছে তাতে আমাদের মতো গরিব মানুষদের সংসার চালানো কঠিন হয়ে দঁড়িয়েছে।
জাকির হোসেন হিটলার নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘গতকাল বেগুন কিনলাম ৪০ টাকা কেজি। আজ তা ৬০ টাকা কেজি। কোন জিনিসের দাম কিভাবে বাড়চ্ছে তা বলে বুঝানো যাবে না।’
সফিক ইসলাম বলেন, ‘বাজারে করলার কেজি ১০০ টাকা, সজনা ডাঁটার কেজি ১০০ টাকা, পটল ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কি কিনবো কি না কিনবো কিছুই বুঝতে পারছি না। আমাদের আয় না বাড়লেও খরচ কিন্তু ঠিকই লাগামহীনভাবে বাড়ছে।আব্দুল্লাহ আল মামুন নামের অপর এক ক্রেতা বলেন, ‘রমজান মাসে অন্য দেশগুলোতে নিত্যপণ্যের দাম কমে, আর আমাদের দেশে লাগামহীনভাবে বাড়ে। সরকার বাজার মনিটরিং করছে না।
কাঁচামাল বিক্রেতা রাসেদ ইসলাম বলেন, রমজানের প্রথম দিনের চেয়ে দ্বিতীয় দিন পটল, বেগুন ও চিচিঙ্গার দাম কেজিতে ১০ হতে ২০ টাকা বেড়ে গেছে। মরিচের দামও বাড়তি।’
নীলফামারীর জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ জানান, ‘জেলাজুড়ে বাজার মনিটরিং চলছে। অতিরিক্ত দামে কেউ পণ্য বিক্রি করলে, তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।