গত বুধবার থেকে পেঁয়াজ আমদানির পারমিট বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। যার কারণে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে। এর প্রভাব পড়েছে স্থানীয় পাইকারি বাজারে। ২২ টাকা কেজি দরের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৬ টাকা কেজি দরে।
আমদানি স্বাভাবিক হলে আবারও বাজার দর স্বাভাবিক হবে বলে জানয়েছেন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা। তবে আমদানি স্বাভাবিক না হলে দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) দুপুরে হিলি পেঁয়াজ বাজার ঘুরে জানা যায়, ভারত থেকে আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৪ টাকা। এদিকে বাড়তে শুরু করেছে দেশি পেঁয়াজের দামও। দেশি ২৬ টাকার পেঁয়াজ বেড়ে বিক্রি হচ্ছে পাইকারি বাজারে ২৮ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে। খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ দুই থেকে চার টাকা বেশি দরে বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। সামনে রমজান দাম বাড়ার সম্ভাবনা বেশি বলছেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে হঠাৎ দাম বাড়ায় বিপাকে পড়ছেন সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতারা।
হিলি বাজারে সবজি বিক্রেতা আব্দুল লতিফ বলেন, ২২ থেকে ২৪ টাকা দরে পাইকারি কিনে ২৬ টাকা দরে খুচরা বিক্রি করেছি পেঁয়াজ। আজ ২৬ টাকায় কিনলাম, এখন এসব পেঁয়াজ ২৮ থেকে ৩০ টাকা বিক্রি করতে হবে।
হিলি বাজারে পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী শাহাবুল ইসলাম বলেন, বুধবার ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাজারে। গতকাল বৃহস্পতিবার যে পেঁয়াজ ২২ টাকা পাইকারি দিয়েছি, আজ তা ২৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ফেরদৌস রহমান বলেন, সামনে রমজান। দেশে পেঁয়াজের চাহিদা প্রচুর রয়েছে। এরমধ্যে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। দাম বাড়তে শুরু করেছে, আগামীতে আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমদানি স্বাভাবিক হলে আশা করা যায়, পেঁয়াজের দাম আর বাড়বে না।