উইনি এস্ট্রাপ পিটারসান বলেন, বাংলাদেশের মতো জায়গায় টিউলিপের চাষ হচ্ছে, তা দেখে আমি খুবই আনন্দিত। এ ফুল সাধারণত শীতপ্রধান দেশগুলোতে হয়ে থাকে। বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় যারা এ ফুল চাষ করছেন, তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। তারা যেন একতাবদ্ধ থাকেন, যাতে এ কাজ আরও ছড়িয়ে দিতে পারেন। ভবিষ্যতে ভালো কিছু করতে পারবেন। বিশেষ করে, পিকেএসএফ ও ইএসডিওকে এ ফুল চাষের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বিশেষ ধন্যবাদ জানাই।
ড. আর্নো হ্যামেলিয়ার্স বলেন, তেঁতুলিয়ায় টিউলিপের বাগানে এসে খুব অভিভূত হয়েছি। এখানে এসে খুব ভালো লেগেছে। বিশেষ উৎসবের দিনগুলাতে এ টিউলিপ হতে পারে ভিন্ন আনন্দ।
ইএসডিও’র নির্বাহী পরিচালক ড. শহীদ উজ্জামান বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক থেকে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া পর্যটনে সম্ভাবনাময় জায়গা। আমরা এখানে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এবং ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্টের (ইফাদ) সহযোগিতায় সীমান্ত গ্রাম দর্জিপাড়ায় নেদারল্যান্ডের টিউলিপ ফুল চাষের পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করেছি। বাণিজ্যিকভাবে ২০ জন নারীর হাতে ১০ প্রজাতির ফুল টিউলিপ ফুটিয়েছি। নানা রঙের ফুলের সৌন্দর্য দৃষ্টি জুড়াচ্ছে দর্শনার্থীদের। দেশ-বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকরা এসে বাহারি রঙের টিউলিপ ফুল দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন—ইফাদের মেরিয়েল জিমার মেন, কনসালট্যান্ট ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচার ডেভলপমেন্টের (ইফাদ) মো. দেওয়ান আলমগীর, পিকেএসএফের সিনিয়র মহাব্যবস্থাপক (কার্যক্রম) ড. আকন্দ মো. রফিকুল ইসলাম, ইএসডিও’র নির্বাহী পরিচালক ড. মুহম্মদ শহীদ উজ জামান, পিকেএসএফের ভ্যালু চেইন স্পেশালিস্ট মো. রাফিজুল ইসলাম মন্ডল ও তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা, মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সাঈদ চৌধুরী প্রমুখ।