মানুষের হার্ট বা হৃদয় একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত নিরন্তর কাজ করে এই অঙ্গটি। রক্ত পাম্প করার কাজটি করে হার্ট। এই অঙ্গের দৌলতেই সারা শরীরে পৌঁছে যায় অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত। তবেই কোষ বেঁচে থাকে। এহেন জরুরি একটি অঙ্গের প্রতি আমাদের উদাসীন মনোভাব যে বিপদ বাড়ায়, তা তো বলাই বাহুল্য়। চিকিৎসকের মতে, প্রচুর মানুষ এই অঙ্গের অসুখে ভুগছেন। বিশেষত হচ্ছে হার্ট অ্যাটাক। কম বয়সে হার্ট ফেলিওরের ঘটনাও দিন দিন বাড়ছে। এই সমস্যার পিছনে রয়েছে আমাদের খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রা। হৃদযন্ত্রের সুস্থতার জন্য উপকারী হচ্ছে প্রোটিনসমৃদ্ধ ডিম। হার্ট জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা থেকে জানা যায়, প্রতিদিন ডিম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
সারা বিশ্বে পুষ্টি ঘাটতি নিয়ে পুষ্টিবিদরা দাবি করছেন, শুধু ডিমের কুসুমই পারে পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করতে। কেননা এতে রয়েছে কপার, প্রায় সব ধরনের ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, সেলিনিয়াম, থিয়ামিন, ফোলেট, বি৬, বি১২, শতভাগ ভিটামিন-এ, ভিটামিন-ই এবং প্যানথোথেনিক এসিড।
অন্যদিকে ক্যারেটিনয়েডের খুব সহজলভ্য একটি উৎস হচ্ছে ডিম। এতে রয়েছে সহজেই পাচনযোগ্য লিউটিন এবং জিউজ্যানথিন- যা চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ক্যারোটিনয়েড চোখের কালো অংশ গঠন করে এবং বার্ধক্যজনিত ম্যাকুলার ডি- জেনারেশন বা বার্ধক্যজনিত অন্ধত্ব প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
অনেকের ধারণা, ডিমের কুসুম খেলে হার্টের ক্ষতি হয়। তাই স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ ডিমের কুসুম ফেলে দিয়ে শুধু সাদা অংশটুকু খেতেন। কিন্তু এখন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘ডিম হার্টের জন্য ক্ষতিকর’ কথাটি সত্য নয়। গবেষকদের মতে, ডিমের কুসুমে কোলেস্টেরল আছে, এ কথা সত্য। তবে যে ধরনের বা যে মাত্রার কোলেস্টেরল আছে; তার জন্য আর্টারি ব্লক কিংবা হার্ট অ্যাটাকের কারণ হিসেবে ডিমের কুসুমকে দায়ী করা যায় না।