ঘোড়াঘাটে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে পুলিশ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ৫০ বাড়িতে অগ্নিসংযোগে নিঃস্ব হওয়া অসহায় মানুষদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে পুলিশ।
খোলা আকাশের নিচে বসবাসরত মানুষদের মধ্যে ৩০০ কম্বল বিতরণ করেছে তারা।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার খোদাতপুর গ্রামে এসব কম্বল বিতরণ করা হয়।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- হিলি-ঘোড়াঘাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলাম,
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান কবিরসহ পুলিশ সদস্যরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ২৮ শতক জমি নিয়ে উপজেলার খোদাতপুর (চুনিয়াপাড়া) গ্রামের হায়দার
আলীর সঙ্গে চর এলাকা থেকে এসে বসবাসরত ওমর ফারুকের বিরোধ চলছিল।
গত বুধবার সকালে ওই জমিতে দুই পক্ষ দেশিয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে হায়দার
আলীর ছেলে মনোয়ার হোসেন মিম (২৪) ও ইসমাইল হোসেনের ছেলে রাকিব হোসেন (২৫) নিহত হন।
পরে ঘোড়াঘাট থানায় বুধবার রাতে মামলা হলে পুলিশ ওমর আলীসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে।
ওই ঘটনার জেরে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নিহত দুই যুবকের জানাজা শেষে প্রায়
৫০টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে প্রতিপক্ষের লোকজন। সেসময় লুট করা হয় গরু-ছাগলসহ
বাড়ি ঘরগুলোর টিভি-ফ্রিজ ও মূল্যবান অনেক জিনিসপত্র। ফলে হাঁড়কাপানো শীতের মধ্যে
বহু মানুষ খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন।
না জানা ব্যক্তিকে আসামি করে একটি মামলা হয়। গ্রাম পুলিশ সদস্য সুশিল চন্দ্র,
হাবিবুর রহমান, আফজাল হোসেন মামলাটি দায়ের করেন।
নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া। এই উপজেলার নিঝুমদ্বীপে জোয়ারের প্রভাবে
গত তিন বছর আগে ছোয়াখালী সেতুটি ভেঙে যায়। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয়রা।
সেই সঙ্গে বিপাকে পড়ছেন নিঝুম দ্বীপ বেড়াতে আসা পর্যটকরাও।
তিন বছর আগে ভেঙে যাওয়া সেতুটির পাশে সাময়িক চলাচলের জন্য একটি অস্থায়ী কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।
এখন সেটিও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ফলে প্রতিদিনের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন নিঝুম দ্বীপে ঘুরতে আসা পর্যটক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় লোকজন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ছোয়াখালী বাজার সংলগ্ন সেতুটি ৪ নম্বর
ওয়ার্ড ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সংযোগস্থল।