লাখো ভক্তের উপস্থিতিতে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়েছে মাইজভাণ্ডারী তরিকার প্রবর্তক হযরত গাউছুল আজম সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী (ক.) এঁর ১১৭তম বার্ষিক ওরশ। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন হযরত মওলানা শাহছুফী সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী (ম.)।মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন তিনি।
সাজ্জাদানশীন হযরত মওলানা শাহসুফি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারীর (ম.) আয়োজন ও ব্যবস্থাপনায় এবং নায়েব সাজ্জাদানশীন ও মোন্তাজেম সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারীর (ম.) সার্বিক তত্ত্বাবধানে গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারীর ওরশে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাইজভাণ্ডারে আসেন আশেক-ভক্তরা।
বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, মিয়ানমার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, চায়না, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ওমানসহ নানা দেশ থেকে অসংখ্য ভক্ত-অনুরক্ত অংশ নিতে মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে আসেন।
সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী বলেন, ‘অলিরা রাসূলের প্রতিনিধি। তাদের কারণে ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলাম প্রচার ও প্রসার লাভ করেছে। ইসলামের ক্রান্তিলগ্নে সবসময় সুফী সাধকরাই ধর্মের আধ্যাত্মিক ও শরীয়তের অবকাঠামো রক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। ইসলাম ধর্মের প্রচার ও প্রসারের পাশাপাশি তাঁরা ইসলামের মৌলিক আদর্শ ও বিশ্বাসের সাথে সমাজ সংস্কৃতির নৈতিক সংস্কারে আধ্যাত্মিক পূর্ণতা লাভের কারিগর হিসেবে কাজ করেছেন।
তিনি বলেন, গাউছুল আজম মাইজভাণ্ডারী শাহসুফী সৈয়দ আহমদ উল্লাহ (ক.) মাইজভাণ্ডারী ত্বরিকা প্রবর্তন করেছেন। মাইজভাণ্ডারী ত্বরিকা ইসলামের মৌলিক আদর্শ ও আঞ্চলিক সংস্কৃতির মেলবন্ধনের চূড়ান্ত আধ্যাত্মিক রূপ। এ ত্বরিকার অনুসারীরা ঐশী প্রেমনির্ভর শিক্ষা ও ইসলামী শরীয়তভিত্তিক চর্চায় কার্যকর ভূমিকা রাখছে’।