লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে মা ও মেয়ের মৃত্যুর পরে আহত ছেলে তৌহিদের (২) মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিনজন।শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।এর আগে এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লালমনিরহাট-বুড়িমারী রেলরুটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের ঘুন্টি নামক এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মা-মেয়ের মৃত্যু হয়।নিহতরা হলেন- উপজেলার পাটগ্রাম ইউনিয়নের রহমানপুর গ্রামের রাশেদুজ্জামানের স্ত্রী সুমি আক্তার (৩২), তার মেয়ে তাজমিরা তাবাসসুম তাসিন (৭) ও ছেলে তৌহিদ (২)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ছেলে-মেয়েকে নিয়ে অটোরিকশায় করে বুড়িমারীর দিকে যাচ্ছিলেন সুমি আক্তার। এ সময় বুড়িমারীর ঘুন্টি নামক স্থানে তারা অটোরিকশা থেকে নেমে পাশের লালমনিরহাট বুড়িমারী রেললাইনে যান। এ সময় লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে আসা বুড়িমারীগামী বুড়িমারী কমিউটার ট্রেনের সামনে ছেলে মেয়েকে নিয়ে ঝাঁপ দেন সুমি আক্তার। এতে ট্রেনে কাটা পড়ে সুমি ও তার মেয়ে তাসিন ঘটনাস্থলেই মারা যান। আর তার ছেলে তৌহিদ আহত হয়।
স্থানীয়দের খবরে পাটগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের একটি দল সেখানে পৌঁছে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে এবং তৌহিদকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে আশংকাজনক অবস্থায় তকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় তৌহিদের মৃত্যু হয়।প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণা, পরিবারিক কলহের জেরে ছেলে মেয়েকে নিয়ে আত্নহত্যা করার উদ্দেশে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন সুমি আক্তার।এদিকে নিহত সুমির স্বামীর পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছেন বলে জানা গেছে।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় তৌহিদের মৃত্যু হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা মতে এটি একটি দুর্ঘটনা নয়, পারিবারিক কলহের জেরে আত্নহত্যা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।