দিনভর ঢিলেঢালা ভাবে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়েছে। কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি তেমন ছিল না। সকাল সাড়ে ৮টায় গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) শূন্য আসনের দ্বিতীয় দফা ভোট গ্রহণ শুরু হয়। তবে ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সাঘাটা ও ফুলছড়ির কয়েকটি কেন্দ্রে ১০-১৫ জন করে ভোটারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কেন্দ্রগুলোতে দুপুর পর্যন্ত শতকরা ২০ ভাগের বেশি ভোট পড়েনি। প্রার্থীদের লোকজনের চেষ্টায় ৬০-৭০জন নারী পুরুষ এসে লাইনে দাঁড়ান। তবে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার অভিযোগ পাওয়া যায় নি।এদিকে ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে বলে জানান প্রধান দুই প্রার্থী।
আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপণ বলেন, ‘শান্তি-শৃঙ্খলার মধ্যে ভোট হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে প্রত্যন্ত গ্রামে নৌকার পক্ষে কাজ করায় সাধারণ মানুষের মধ্যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বিজয়ের ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদী।
জাপার লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী গোলাম শহীদ রঞ্জু বলেন, ‘ইসি কিংবা প্রশাসনের ভোট সুষ্ঠু করার ব্যাপারে আন্তরিকতা ছিল। তারপরও সরকারি দলের প্রভাব বলয়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় তার কর্মীদের মধ্যে শঙ্কা রয়েছে।রিটানিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, এই দুই অঞ্চলের মানুষ কর্মজীবী। তারা নিজ কাজে ব্যস্ত থাকেন। তাছাড়া ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণেও ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ জুলাই জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বি মিয়া মারা গেলে ওই আসনটি শূন্য হয়। পরে গত ১২ অক্টোবর শূন্য আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ভোটের অনিয়ম হওয়ায় নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেন কমিশন। পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনার ৬ ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন। নির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
তারা হচ্ছেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মাহমুদ হাসান (নৌকা), জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু (লাঙল), বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম (কুলা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবার রহমান (ট্রাক)। অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ (আপেল) সংবাদ সম্মেলন করে তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।
সাঘাটা-ফুলছড়ি উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে মহিলা ভোটার এক লাখ ৭০ হাজার ১৬০ জন ও পুরুষ ভোটার এক লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ জন। সাঘাটা-ফুলছড়ি দুই উপজেলা মিলে ভোট কেন্দ্র ১৪৫ এবং বুথের সংখ্যা ছিল ৯৫২টি।