ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ সূত্র জানায়, শুক্রবার সকাল ৯টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার, দুপুর ১২টায় ৩৫ সেন্টিমিটার এবং দুপুর ৩টায় ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।
নীলফামারীতে বাড়ছে তিস্তার পানি
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ সূত্র জানায়, শুক্রবার সকাল ৯টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার, দুপুর ১২টায় ৩৫ সেন্টিমিটার এবং দুপুর ৩টায় ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।
জেলায় বৃষ্টি শুরু হয় গত বুধবার রাতে। মুষলধারে না হলেও মাঝারি আকারে এ বৃষ্টি থেমে থেমে চলে বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার। এতে করে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হতে পারছে না মানুষ।
এতে করে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন। তবে জেলার কোথাও জলাবদ্ধতা বা বন্যার সৃষ্টি করতে পারেনি এ বৃষ্টি।
জেলা শহরের কলেজপাড়ার রিকশাচালক আজিমুদ্দিন (৬৫) বলেন,‘আমাদের যে আয় তাতে টাকা জমানো সম্ভব হয় না। গত দুইদিন ধরে বৃষ্টির কারণে রিকশা চালানো যাচ্ছে না।
আয় না থাকার কারণে সংসারে অভাব চলেছে’।
কৃষি বিভাগ বলছে দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির কবলে থাকা ফসলের মাঠে এমন বৃষ্টি আশীর্বাদ হিসেবে দেখা দিয়েছে। এতে চলতি আমন মৌসুমে আমনের কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। তবে এ বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে নিচু এলাকার কিছু ফসলি জমি ক্ষতি হতে পারে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্র মতে, চলতি মৌসুমে জেলায় এক লাখ ১৩ হাজার ১৭২ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
সেখানে অর্জিত হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ২১৭ হেক্টর। আগাম জাতের ধান উঠতে শুরু করেছে। গত বুধবার পর্যন্ত জেলায় ৬২০ হেক্টর জমির ধান কর্তন হয়েছে। বেশিরভাগ আবাদে এখন ধানের শীষ বের হওয়ার পথে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘নীলফামারী জেলার মাটি বেলে দো-আঁশ হওয়ার কারণে পানি আধা ঘণ্টার মধ্যে সরে যায়। এতদিন বৃষ্টি না থাকার পর এই বৃষ্টিটা কৃষির জন্য আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিয়েছে। এতে করে আমাদের আমন উৎপাদনের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।’
নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আতিকুর রহমান বলেন, ‘তিস্তা নদীর পানি কয়েকদিনের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৩টায় বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও বন্যার আশঙ্কা নেই বলে জানান তিনি’।