প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ যশোর জেলা স্টেডিয়ামে এক জনসভায় বক্তৃতা দেবেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ এই জনসভার আয়োজন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর এ জনসভা উপলক্ষে যশোর এখন একটি উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে। জেলার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সর্বস্তরের জনগণের মাঝে উৎফুল্লতা বিরাজ করছে।
আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার এ জনসভাকে কেন্দ্র করে শুধু যশোরের নেতাকর্মীরাই নয় বরং গোটা দক্ষিণাঞ্চলের জনগণের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
করোনার কারণে প্রধানমন্ত্রী প্রায় তিন বছর পর এই প্রথম ঢাকার বাইরে কোনো জনসভায় অংশ নিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর পোস্টার ও ব্যানানের পাশাপাশি রঙিন খিলান ও তোরণ দিয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক সজ্জিত করা হয়েছে। নেতারা প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানকে স্বাগত জানাতে দাড়াটানা মোড়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, গারিবশাহ্ রোড ও অন্যান্য এলাকা ব্যানার, বেলুন, ফেস্টুন ও পোস্টার দিয়ে সজ্জিত করেছে।
এদিকে যশোরে প্রধানমন্ত্রীর আগমন এবং জনসমাবেশ ঘিরে নিশ্চিত নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে প্রশাসন। জনসভাস্থলে পাঁচ স্তর এবং শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে যশোর জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পুলিশ সুপার ফিরোজ কবীর বলেন, ‘জনসভাস্থলে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করা হয়েছে। গোটা যশোর জেলার ৮ উপজেলা গোয়েন্দা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে রয়েছে। বিভিন্ন স্তরে চৌকস অফিসার ও ফোর্স দায়িত্ব পালন করছেন।
যশোর জেলা পুলিশের মুখপাত্র গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ রুপি সরকার বলেন, ‘জনসভা উপলক্ষে গোটা যশোর জেলাকে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে আনা হয়েছে। শহরতলি থেকে শুরু করে গোটা এলাকায় প্রশিক্ষিত ফোর্স নিযুক্ত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জন্য পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাবেষ্টনী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে কয়েক শ’ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। কয়েকটি ডগ স্কোয়াড টিমও কাজ করছে। পাঁচ স্তরের বাইরেও গুগল ও স্যাটেলাইট সহায়তা নিয়েও নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা জুড়ে রাস্তায় নিয়োজিত থাকছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।’