পরবর্তীতে ০২ জুন ২০২২ তারিখে উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও অন্যান্য গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে একটি স্থানীয় শালিস হয়। যেখানে ওই কিশোর উপস্থিত ব্যক্তিদের অনুমতিক্রমে গত দিনের ঘটনার বিবরন দেয়। পরে গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ঘটনাটির মীমাংসা হয়।
একই দিনে শালিস শেষে ওই কিশোর স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় কিশোর গ্যাং এর কিছু সদস্য তার পথ অবরোধ করে কেতকীবাড়ী মাদ্রাসার মাঠে নিয়ে যায়। উক্ত শালিসে সাক্ষী দেওয়ায় কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা শত্রুতা পোষণ করে রাখে। পরে কিশোর গ্যাং এর সদস্য হোসাইনুর রহমান হিরু ও দুলু এর সাথে যোগ-সাজশে আসামী হাবিবুর রহমান (সিফাত) এবং জয় (২১) ভিকটিম’কে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে।
এই সময় অন্য আসামী মাহাবুবুর রহমান মোবাইলে ভিডিও ধারনসহ ফেইসবুক লাইভে উক্ত ঘটনাটি শেয়ার করতে থাকে। ভিকটিমের চিৎকারে আশেপাশের লোকজনের উপস্থিতিতে আসামীরা মারধর বন্ধ করে। কিন্তু কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা ভিকটিম’কে পরবর্তীতে অন্য কোথাও পেলে হত্যারও হুমকি দেয়।
পরবর্তীতে কেতকীবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভিকটিম’কে গুরুতর জখমপ্রাপ্ত অবস্থায় দেখে দ্রুত হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে গত ০৪ জুন ২০২২ ইং তারিখ ভিকটিমের বাবা লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা থানায় ০৫ জনকে আসামী করে একটি এজহার দায়ের করেন।
উক্ত ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গনমাধ্যমেও ব্যপক চা ল্যের সৃষ্টি করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৩, ব্যাটালিয়ন সদর, রংপুর একটি চৌকস আভিযানিক দল উক্ত ঘটনার বিষয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে। ছায়া তদন্তের এক পর্যায়ে গত ০৭ জুন ২০২২ ইং তারিখ বিকালে নীলফামারী জেলার ডিমলা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত মামলার ০২নং আসামী কিশোর গ্যাং
সদস্য মোঃ জয়, পিতা-দুলু মিয়া, সাং-কেতকীবাড়ী (০২নং ওয়ার্ড), থানা-হাতীবান্ধা, লালমনিরহাট’কে গ্রেফতার করে।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, গেফতারকৃত কিশোর গ্যাং সদস্য ঘটনার সাথে তার এবং এজহারে উল্লেখিত অন্যান্য সদস্যদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তার সাথে জড়িত অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে গোপন অনুসন্ধান চলছে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।