গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের উপনির্বাচনে অনিয়ম তদন্তে নির্বাচন কমিশন গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের মতো শুনানি গ্রহণ করেছে।শুনানির শেষ দিনে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল পর্যন্ত গাইবান্ধা সার্কিট হাউজে ২৭ জনের শুনানি গ্রহণ করে তদন্ত কমিটি।
শেষদিনের শুনানিতে বৃহস্পতিবার সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে ২৭ জনের বক্তব্য শোনেন তদন্ত কমিটি। তাদের মধ্যে ছিলেন, উপনির্বাচনের পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, বিজিবি ও র্যাবের কমান্ডিং কর্মকর্তা দুই কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার।
তিনদিনে কেন্দ্র সংশ্লিষ্টদের এই শুনানি গ্রহণ করেন ইসির গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এবং দুই সদস্য যুগ্মসচিব মো. কামাল উদ্দিন বিশ্বাস ও মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী।
শুনানিতে অংশ নিয়ে উপনির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী পাঁচ প্রার্থী তাদের লিখিত বক্তব্য তদন্ত কমিটির কাছে জমা দিয়েছেন বলে জানান।শুনানিতে অংশ নিয়ে ফিরে যাবার সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন জানান, তিনি কমিটির কাছে এলাকার নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে এমন দাবি করে যে ৫১ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ করা হয়েছিল সেগুলো বাদে বাকি ৯৪ কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী গোলাম শহীদ রঞ্জু বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন বন্ধ ও তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিবেন এমনটা আশা করি। কমিশনের প্রতি আমাদের আস্থা আছে।
শুনানির কার্যক্রম শেষে সার্কিট হাউজে তদন্ত কমিটির প্রধান অশোক কুমার দেবনাথ গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, তিন দিনের শুনানিতে অংশ নিতে ৬৮৫ জনকে চিঠি দেয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৬২২ জন উপস্থিত হয়েছেন। বাকি যারা উপস্থিত হননি তারা সবাই বিভিন্ন প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট। আমরা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিব। এছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি তিনি।