দিনাজপুর, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ (বাসস): জেলার ১৩টি উপজেলায় এবারে ১ হাজার ২৮২টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে। জেলার ১৩ টি উপজেলার মধ্য- সদরে ১৬৭, বিরলে ৯৭, পার্বতীপুরে ১৫৪, ফুলবাড়ী ৬১, চিরিরবন্দরে ১৫৭ টি, বোচাগঞ্জে ৬৬, খানসামা ১৩৪, হাকিমপুরে ২২ টি বীরগঞ্জে ১৬৩, বিরামপুরে ৪০, নবাবগঞ্জে ৭০, কাহারোলে ১১২, ও ঘোড়াঘাটে ৩৯ টি শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব মন্ডপে প্রতিমা তৈরীর প্রস্তুতির কাজ চলছে। দিনাজপুর জেলা পুলিশ ও পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
দিনাজপুর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি স্বরূপ বকশি বাচ্চু জানান, এবারে জেলায় ১ হাজার ২৮২টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব অনুষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। প্রত্যেকটি পূজামন্ডপে কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। সুশৃংখল পরিবেশে পূজা উৎসব উদযাপনে মন্ডপ কমিটি গুলো সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তাদের মোবাইল নম্বর জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে সরবরাহ করা হয়েছে। উভয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূজা উৎসব শান্তিপূর্ণ ও ত্রুটিমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠিত করার লক্ষ্যে কমিটিগুলোর সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখবেন বলে নিশ্চিত করেছেন। কোন ম-পে সমস্যা দেখা দিলে তাৎক্ষণিক জেলা প্রশাসন বা পুলিশ প্রশাসন এবং পুজা উদযাপন পরিষদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অবহিত করতে বলা হয়েছে।দিনাজপুর পুলিশ সুপারের বিশেষ শাখা দায়িত্বে নিয়োজিত অতিরিক্ত সুপার সিফাত-ই- রাব্বিন জানান, চলতি বছর জেলায় সর্বমোট ১ হাজার ২৮২ টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। দুর্গাপুজা উৎসব মন্ডপগুলোকে নিরাপত্তার স্বার্থে তিনটি স্তরে ভাগ করা হয়েছে। ১ হাজার ২৮২টি মন্ডপের মধ্য ৩৬৮টি পূজামন্ডপকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ডপ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, ৩৬৯ টি মন্ডপ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত, ৫৪৫ টি মন্ডপ সাধারণ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
সূত্রটি জানায়, এবারে শান্তিপূর্ণ, ত্রুটি মুক্ত,ও উৎসমুখোর পরিবেশে সনাতন ধর্মীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্ম অবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা সফলভাবে অনুষ্ঠিত করার লক্ষ্যে নিছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে। অধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্দিরগুলোতে অস্ত্রধারী পুলিশ ও আনসার সদস্য এবং লাঠিধারী পুরুষ ও মহিলা সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া মন্দির কমিটির দায়িত্বে স্বেচ্ছাসেবকগণ আইন শৃঙ্খলা-বাহিনীর সঙ্গে সহযোগী হিসেবে পূজামন্ডপের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবেন। গুরুত্বপূর্ণ মন্দিরগুলোতে একইভাবে পুলিশ ও আনসার সদস্যগণ এবং মন্দির কমিটির স্বেচ্ছাসেবকগণ অধিক গুরুত্ব সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন।