কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত রংপুর রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য এএসআই মো. আমীর আলী ও সুজন চন্দ্র রায়কে গ্রেপ্তার করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। পরে তাদের রংপুর জেলা পিবিআই-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি হেডকোয়াটাস আবু বক্কর সিদ্দিক ও পিবিআই পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন।
পুলিশে বলছেন, এই দুই সদস্য মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে নজরদারিতে ছিলেন।আজ তাদের মহানগর পুলিশ পিবিআই কাছে হস্তান্তর করেছে।
এদিকে, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ থেকে পাঠানো বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়, গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বাদশ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হন। এ ঘটনায় মেট্রোপলিটন তাজহাট থানায় গত ১৯ আগস্ট মামলা হয়। এই মামলায় আসামি এএসআই মো. আমীর হোসেন এবং কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার রিকুইজিশনের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সোমবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানা গেছে, আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বড় ভাই রমজান আলী বাদি হয়ে ১৮ আগস্ট মেট্রোপলিটন তাজহাট থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
এঘটনায় মামলার আসামি হলেন-পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, রংপুর রেঞ্জের সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবদুল বাতেন, রংপুর মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, ডিসি ক্রাইম আবু মারুফ হোসেন, পুলিশ সদস্য সৈয়দ আমীর আলী, সুজন চন্দ্র রায়সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ জনকে।
এর আগে, গত ৩ আগস্ট এই দুই পুলিশ সদস্য এএসআই আমীর আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে বরখাস্ত করা হয়েছিল।