গাইবান্ধার সেই ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার
পুলিশের ভ্যান থেকে হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের
সেই ধর্ষণ ও অপহরণ মামলার আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইজার উদ্দিন।
রবিবার (৫ জুন) বিকেলে উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের সমসপাড়া গ্রামের
একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার আসামির নাম সামিউল ইসলাম।
উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের বালুয়াপাড়া গ্রামে আব্দুল হালিমের ছেলে সে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইজার উদ্দিন জানান, দুই সপ্তাহ পূর্বে
থানায় সামিউল ইসলামের বিরুদ্ধে তার শ্যালিকাকে অপহরণ ও
ধর্ষণের অভিযোগে তার শ্বশুর মামলা করেন।
সেই মামলায় সামিউলকে গ্রেফতারসহ অপহৃতকে চাঁদপুর থেকে উদ্ধার করা হয়।
পরদিন সকালে পুলিশ ভ্যানে করে সামিউল ও তার
শ্যালিকাকে গোবিন্দগঞ্জ থানায় নেয়া হয়। এ সময় ভ্যান
থেকে নামার সময় হাতকড়াসহ সামিউল ইসলাম দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
ছয় দিন পর তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন:গাইবান্ধার সেই ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার
ওসি আরও জানান, গ্রেফতার সামিউলকে
আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
এ ছাড়া পুলিশকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তার
বিরুদ্ধে থানায় আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে মিরপুরে
পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ শেষ পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা
ধাওয়া পর্যন্ত গড়িয়েছে।রোববার (৫ জুন) সকাল থেকেই মিরপুর-১০
ও এর আশে-পাশের সড়কগুলোতে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে
থাকেন শ্রমিকরা।এরমধ্যে বেশকিছু গাড়ি ও আশে-পাশের ভবনে
ভাঙচুর চালায় তারা। দুপুরের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অ্যাকশনে
যায় পুলিশ। শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল
নিক্ষেপ করা হয়।এ সময় শ্রমিকরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে
থাকলে দু-পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। দুপুর ২টার
দিকে শ্রমিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে চারপাশে ছড়িয়ে গেলে সড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
এর আগে মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্ত্বরে শ্রমিকদের বিক্ষোভে আটকা
পড়ড়েন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো.আলমগীর হোসেন।
এ সময় শ্রমিকরা তার গাড়ি ঘিরে ধরলে তিনি গোলচত্বরের পুলিশ বক্সে অবস্থান নেন।
পরে পুলিশ তার গাড়ি ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করলেও শ্রমিকরা রাজি হননি।
এভাবে প্রায় আড়াইঘণ্টা অপেক্ষার পর দুপুর ১টার দিকে শ্রমিকদের হাত
থেকে তার গাড়ি ছাড়াতে সক্ষম হয় পুলিশ। এরপর তিনি গাড়িতে উঠে
ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।মূলত, এরপরই অ্যাকশনে যায় পুলিশ। জলকামানসহ
পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে যেতে থাকলে শ্রমিকরাও তাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকেন। সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।