স্টাফ রিপোর্টার ॥
রংপুর নগরবাসী সবধরনের নাগরিক সেবা পাচ্ছেন কোনভাবেই ব্যাহত হচ্ছে না। আওয়ামীপন্থী ৬ থেকে ৭ জন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় ওইসব ওয়ার্ডে মহিলা কাউন্সিলররা এবং প্যানেল মেয়র দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও সারাদেশের সিটি কর্পোরেশনগুলোতে মেয়র অপসারন করার পর রংপুর সিটি কর্পোরেশনে দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রশাসক রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো: জাকির হোসেন নিয়মিত তাঁর দায়িত্ব পালন করছেন। শনিবার বিকেলে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সাংবাদিকসম্মেলনে কথাগুলো বলেন ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সাবেক প্যানেল মেয়র মাহমুদুর রহমান টিটু।
এসময় বর্তমান প্যানেল মেয়র মাহবুবার রহমান মঞ্জু বলেন, বিগত কয়েক দিন থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যম, প্রিন্ট ও স্যোসাল মিডিয়ায় প্রকাশিত একটি বিষয় আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে য়ে, আমরা সেখানে দেখতে পেয়েছি কিছু খবর এসেছে যে, বিগত মাননীয় মেয়র মোস্তাফিজার রহমান পলাতক, কাউন্সিলররা পলাতক, নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে। এখানের অনেকেই স্বাক্ষী আমাদের মেয়র পলাতক ছিলো না, আমরা অফিস করেছি, বন্ধের দিনও সেই সময় আমরা অফিস করেছি। সংবাদটা ঠিক না, ভবিষ্যতে এধরনের সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে যেন আরো যতনোশীল হয়। মাননীয় মেয়র মহদয়কে নিয়মের কারনে চলে যেতে হয়েছে। কোন দূর্নীতির কারনে ও অপকর্মের কারনে যেতে হয়নি। নিয়মের কারনেই সবকটি সিটি কর্পোরেশনের মেয়রদের যেতে হয়েছে বলেই তাকেও চলে যেতে হয়েছে। আপনারা জানেন যে এই আন্দোলনে রংপুরের মেয়রের একটা বিশাল ভুমিকা ছিল। যেটা আমরা কেহ অস্বীকার করতে পারিনা। আর একটা বিষয় আমাদের কাউন্সিলর সম্পর্কে বলা হচ্ছে যে, অধিকাংশ কাউন্সিলর অনুপুস্থিত থাকার কারনে নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে। আমরা এই খবরটার প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং নিন্দা জ্ঞাপন করছি। কারন আমরা ৩৪ থেকে ৩৫জন কউিন্সিলর আছি। মেযর মহদয় একটা সর্বশেষ মিটিং করে গেছে, প্রশাসক মহদয়ের সাথে আমাদের একটা বৈঠক হয়েছিল। রাজনৈতিক কারনে ৫ থেকে ৬ জন কউিন্সিলর অনুপুস্থিত আছে। সবাই জানেন কারা। তাছাড়া মহিলা কাউন্সিলররা আছে, আমাদের প্যানেল মেয়র মহদয় আছেন, সকাল থেকে অফিস করেন। আমরা সব কউিন্সিলর এখানে আছি, আমাদের পক্ষ থেকে যে সেবাটা দেয়া দরকার সেটা কখনোই ব্যাহত হচ্ছেনা। আমরা দিয়ে যাচ্ছি।
তিনি আরোও বলেন. যেহেতু মেয়র মহদয় নেই, প্রশাসক মহদয় নিযুক্ত হয়েছেন, আপনারা জানেন যে ওনার বিরুদ্ধেও একটা মামলা হয়েছিল। সেটাও এভিডেভিট হয়েছে। নানান কারনে মানুষ ভাবছে যে সিটি কর্পোশেনে কেহ নেই, কোনো কাজ হচ্ছে কি না। অথচ মেয়র মহদয় শেষ দিন পর্যন্ত কিন্তু সার্ভিস দিয়ে গেছেন। মেয়র মহদয় আদেশ পাওয়ামাত্রই বিভাগিয় কমিশনার কে ফোন করে বলেছে যে, আজকেই এসে দায়িত্ব বুঝে নেন। সেদিনেই তিনি দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন। আমরা কাউন্সিলররা সবাই ছিলাম। দপ্তরের অন্যান্য কমৃকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও নগরবাসীর সেবায় প্রতিদিন সিটি কাউন্সিলরগণ তাদের নিজস্ব ওয়ার্ড কার্যালয়ে বসছেন এবং নিয়মিত সিটি কর্পোরেশনে আসছেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, সম্প্রতি স্থানীয়সহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ভুল তথ্য প্রচার করা হচ্ছে, যে নগরবাসী সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং মেয়র যাওয়ার পর প্রশাসক অফিস করছেন না। কথাগুলো ঠিক নয় । নগরবাসী সবধরণের নাগরিক সেবা পাচ্ছেন এবং প্রশাসক নিজ বিভাগীয় দফতরের কাজ শেষ করে বিকেলে সিটি কর্পোরেশন অফিসে বসছেনসেই সঙ্গে তিনি চলমান কাজগুলো এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
প্যানেল মেয়র আরো বলেন, ইতোমধ্যে প্রশাসকের পরামর্শে নাগরিক সেবার জন্য সিটি কর্পোরেশন হট লাইন নম্বর চালু করেছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ০১৩৩২-৫৬৬৩০১ থেকে ০৩ নম্বরে যে কোন নাগরিক সেবা সম্পর্কিত পরামর্শ এবং অভিযোগ জানাতে পারেন।
তিনি বলেন. অপারেটর অভিযোগ কিংবা পরামর্শ গ্রহণ করে তা সংশ্লিষ্ট বিভাগে জানিয়ে দেন। এরপর দ্রুততার সঙ্গে সেই সমস্যার সমাধান করা হয়ে থাকে। সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয় রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো: জাকির হোসেনের নামে যে মামলাটি দায়ের হয়েছিলো সেই মামলার বাদী মোছাঃ দিলরুবা আকতার এফিডেভিটের মাধ্যমে কমিশনারের নাম বাতিল চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দেন সিটির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মৌসুমী আফরিদা, কাউন্সিলর লিটন পারভেজ, কাউন্সিলর হাসনা বানু, কাউন্সিলর আবু হাসান চঞ্চল, কাউন্সিলর মিজানুর রহমান মিজু, সিটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সৈয়দ মোঃ জাহাঙ্গীর কবীর শান্তসহ অন্যন্য কর্মকর্তা।