শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এখনো রাজপথে রয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। সপ্তাহব্যাপী ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ ঘোষণা করেছেন তারা। রয়েছে চারটি দাবিও।
সপ্তাহব্যাপী ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বিকাল সাড়ে চারটায় শাহবাগে অবস্থান নেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এরপর কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং অসহযোগ আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে শাহবাগ থেকে রাপা প্লাজা অভিমুখে পদযাত্রা, মোমবাতি প্রজ্জলন ও দোয়ার আয়োজন করেছেন তারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদারের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বুধবার (১৪ আগস্ট) থেকে চার দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সপ্তাহব্যাপী ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ শুরু হতে যাচ্ছে। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সারাদেশের যেসব স্থানে আমাদের জাতীয় বীরেরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন, সেসব পয়েন্ট অভিমুখে ‘রোডমার্চ’ কর্মসূচি পালিত হবে।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, রোডমার্চে সংশ্লিষ্ট স্থানে জড়ো হয়ে আমরা ‘এক মিনিট নিরবতা পালন করব এবং শহীদদের স্মরণে দোয়া ও প্রার্থনা করব।’ বিকাল তিনটায় টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সময় ও স্থান নির্ধারিত করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের চার দাবি কী কী?
১. ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দল ও সরকার যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।
২. সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী মহাজোটের শরিক দলগুলোর পরিকল্পিত হত্যা, ডাকাতি ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং সংখ্যালঘুদের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে।
৩. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলা, মামলা, এবং হত্যাযজ্ঞকে বৈধতা দিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বারংবার কায়েমের চেষ্টা করছে, তাদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ ও নতুন সরকারে তাদের নিয়োগ বাতিল করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৪. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছে, তাদের জন্য দ্রুততম সময়ে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে হবে।