তিনি বলেন, “অনলাইনে যে সমস্ত সম্প্রচার হয়, আইপি টিভিসহ অন্যান্য যে সকল সম্প্রচার হয়, সেগুলো দেখার জন্য আমরা একটা আলাদা উইং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আপাতত আমাদের যে জনবল আছে সে জনবল দিয়েই উইংটি শুরু করব।
তথ্য ও সম্প্রচার নিয়ে আলাদা বিভাগের প্রয়োজন নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “আমাদের মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অনলাইনে আরও নিবিড়ভাবে সেবা দিতে আলাদা উইং করা হচ্ছে। এখন আমাদের মিডিয়া উইং সেটা দেখে।
“প্রকৃতপক্ষে তথ্য মন্ত্রণালয় সরকারের কাজগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরা ছাড়াও সম্প্রচারের কাজটি করছে। এজন্য আমরা চাচ্ছিলাম যে এই মন্ত্রণালয়ের নাম কাজের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হোক।”
হাছান মাহমুদ বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে সম্প্রচার, এটি পৃথিবীর বাস্তবতা। এই বাস্তবতাকে আমাদের মেনে নিতে হবে। কিন্তু এটি এখন যেভাবে কোনো বিধি-নিষেধ ছাড়া পরিচালিত হচ্ছে, সেটি হতে পারে না। সেজন্য আমরা একটি নীতিমালার ভিত্তিতে যাতে এগুলো পরিচালিত হয় এবং একইসাথে তারা যে ব্যবসা করছে, সেখানে সে ব্যবসা করার জন্য ট্যাক্স দিচ্ছে না, সেটি যাতে ট্যাক্সের আওতায় আসে, সেজন্য সরকার কাজ করছে।
তিনি বলেন, “আমরা ইউটিউব এবং ফেইসবুককে ক্রমাগতভাবে বলে যাচ্ছি ট্যাক্স দেওয়ার জন্য। তারা প্রথম দিকে সবকিছু প্রত্যাখ্যান করেছিল। এখন তারা এগ্রি করেছে যে তাদের ট্যাক্স দিতে হবে। এই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের কমিটি কাজ করছে। তাদের সুপারিশ আসলে তখন আমি বলতে পারব, আমরা কি করতে পারব। তবে এটি সত্য, অন্য দেশ থেকে পরিচালিত হয়ে আমাদের দেশে ব্যবসা করছে এবং অন্যের ব্যবসাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, যিনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তাকে কোনো লভ্যাংশের অংশ দেবে না, সেটি হওয়া অনুচিত।”
‘তিস্তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা নেই’
ভারতের সঙ্গে তিস্তা চুক্তি না হওয়ার পেছনে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো ব্যর্থতা নেই বলে মনে করেন হাছান মাহমুদ।
এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, “তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে তো অনেক দূরে এগিয়েছি আমরা। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে এ ব্যাপারে অনেক দূর আগানো হয়েছে কিন্তু ভারতের সংবিধান অনুযায়ী রাজ্য সরকারের অনুমতি লাগে। যেহেতু এটি ভারতের একটি রাজ্য এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে, এখানে অবশ্যই রাজ্য সরকারের অনুমোদন লাগে। তাই এখানে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো ব্যর্থতা নেই। তাদের যে একাগ্রতা, সেটি আছে।
“রাজ্য সরকারের অনুমোদন পেলে সেটি হবে, এটি তারাও (বিএনপি) বুঝে না বোঝার ভান করে। এটি অপ্রাসঙ্গিক হলেও প্রসঙ্গ বানানোর চেষ্টা করছে। আসলে বিএনপি কোনো ইস্যু খুঁজে পাচ্ছে না বলে খড়কুটো ধরে চেষ্টা করছে, এছাড়া অন্য কিছুই নয়। এ সময় প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান এবং তথ্য সচিব খাজা মিয়া সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply