হারুনর রশীদ বয়স ৩৪ বছর, বাবা মৃত আব্দুল আউয়াল মা আনোয়ারা বেগম গ্রাম সাহেবগঞ্জ (কার্তিক আঠারোদোন) ওয়ার্ড নং—৮, রংপুর সিটি কপোরেশন, রংপুরের স্থায়ী বাসিন্দা। হারুনর রশীদ জন্মগত শারিরিক প্রতিবন্ধী (দুই পা অসংখ্য বাকা, দুই হাত লাঠির উপর ভর করে চলতে হয় সারাদিন)। সে অনেক কষ্টে ২০০৪ সালে এস এস সি— জিপিএ ৩.৮০ গ্রেড, হারাগাছ বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় ও ২০০৬ এইচ এস সি— জিপিএ ৩.৪০ গ্রেড, হারাগাছ মডেল কলেজ থেকে পাশ করেন।
পিতা মৃত আব্দুল আউয়াল ও মাতা আরোয়ারা বেগমের নয় ছেলেমেয়ের মধ্যে হারুনর রশীদ হচ্ছে সপ্তম, হারুনর রশীদের বড় দুই ভাইয়েরা লেবার হিসেবে কাপড়ের দোকানে একভাই মুদির দোকানে আর একভাই ওষদের দোকানে কাজ করে। বড় ও ছোট্ট বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। তার পরিবারের সবাই আলাদা সংসার করে।
শারিরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় শরীরের সমস্থ শক্তি দিয়ে দুই হাতে লাটির উপর ভর করে হারুনর রশীদ ছোট্ট থেকে সমাজে বেচে থাকার জন্য নিজের জীবনের সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছে একটু খেয়ে পড়ে বেচেঁ থাকার জন্য। সে ভিক্ষা চায় না, চায় সহযোগিতা আর নিজের মেধা শক্তি সামর্থ দিয়ে কর্মের সাথে যুক্ত থাকতে চান সবসময়। তিনি যখন ক্লাস থ্রিতে পরেন ধারাবাহিক ভাবে নিজেও পড়াশুনা করেন এবং প্রথমে ক্লাস থ্রি থেকে নবম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের টিউশনি করে নিজের পড়াশুনার খরচ ও নিজের ভরন পোষন যোগান দেন। টিউশনির পাশাপাশি সংসারের উন্নতি করার জন্য ২০১৭ সালে একটি বেসরকারী এনজিও থেকে ১৫ হাজার টাকা লোন করে ৭০০ মুরগী দিয়ে খামার পরিচালনা করেন এবং সংসার কোন রকম খরচ চলে।
কিন্তু দেশে করোনা ভাইরাস আশায় ২০২০ সালের মাচ মাসের ১৫ তারিখ থেকে খামার টি বন্ধ হয়ে যায়। তিনি শারিরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় কোথাও কোন কাজের সন্ধান মেলেনি। অবশেষে ধারদেনা করে রংপুর শহরের প্রেসক্লাব মোড়ে একটি পানের দোকান দেয়, ছোট্ট একখানা পানের দোকানের আয় দিয়ে সংসারে মা ও তিনি খেয়ে না খেয়ে দিন পার করে যাচ্ছে। বর্তমানে তার সাথে কথা বলে জানা যায়, যে সে অনেক কষ্টে দিন পার করে আসতেছে। বিভিন্ন জায়গায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে লাভ হয়নি। বেসরকারীভাবে কোন সংস্থা থেকে কোন ধরনের সুযোগ সুবিধা বা ভাতা পায় না।
সরকারীভাবে মাসে ৭৫০ টাকা পেলেও তাতে সংসার চলে না। ধনাঢ্য ব্যক্তির কাছে তাকে যদি আর্থিকভাবে স্থায়ী সহযোগীতা করা হলে আগামী দিন গুলো ভালভাবে জীবনযাপন করত। তার বাবার দেওয়া ৬ শতাংশ জমি ছাড়া আ কিছু নাই, সেই জমির উপরে মুরগীর খামার ঘর আছে কিন্তু মুরগী নাই, তার ইচ্ছা তাকে যদি মুরগীর বাচ্চা কিনে কেউ দিত সেটার উপরে ভবিষ্যৎ সংসার চলতো।
তার চাওয়া এখন সমাজের বিত্তবানদের কাছে দেশে ও দেশের বাহিরে যারা সমাজের অবহেলিত মানুষদের জন্য কিছু করতে চান তারাই শুধু রংপুরের হারুনর রশীদ জীবন যুদ্ধে সহযোগী হিসেবে আথিক সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিবেন। হারুনর রশীদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার ব্যক্তিগত বিকাশ মোবাইল নম্বর ০১৭৩৭১৩৮৬৮৯। রংপুর জনতা ব্যাংক কর্পোরেট শাখা একাউন্ট নম্বর— ৩১১৩৮।