চারণ সাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিনের নামে রংপুর নগরের লালকুঠিতে সড়কের নামকরণের দাবি জানিয়েছে সাংবাদিক নেতারা। দাবির বাস্তবায়নে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার প্রতি আহ্বানও জানান তারা।
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রেসকøাব ভবনে সাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিনের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে এ দাবি জানানো হয়। স্মরণ সভার আয়োজন করে রংপুর প্রেসক্লাব।
অনুষ্ঠানে রংপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি রশীদ বাবুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন-সহ সভাপতি মোনাব্বর হোসেন মনা, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সরকার রফিক, অর্থ সম্পাদক আব্দুর রউফ সরকার, দপ্তর ও যোগাযোগ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, কার্যকরী সদস্য জয়নাল আবেদীন, সাবেক কোষাধ্যক্ষ সুশান্ত ভৌমিক সুবল, এনটিভির রংপুর সিনিয়র রিপোর্টার একেএম মঈনুল হক, দৈনিক দাবানল এর প্রধান প্রতিবেদক ফরহাদুজ্জামান ফারুক প্রমুখ। এতে স ালনা করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানিক সরকার মানিক।
সভায় বক্তারা বলেন, রংপুর নগরীর লালকুঠি স্কুল এন্ড কলেজ রোড হতে (লালকুঠি লেন) ধাপ আটতলা মসজিদের আগ পর্যন্ত সড়কটি চারণ সাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিনের নামে নামকরণ করতে হবে। এক সময় এই সড়কটি তার নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু এখন বর্তমান প্রজন্মের কাছে তা অজানা। এজন্য সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের কাছে আমাদের আহ্বান সড়কটি চারণ সাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিনের নামে করা হোক।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সাংবাদিকতা জগতে রংপুরের মানুষের জন্য গর্ব চারণ সাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিন। তার সাংবাদিকতা নিয়ে আজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণা করছে। তার লেখা বই বিভিন্ন ভাষায় মুদ্রিত হয়েছে। গ্রাম থেকে উঠে আসা সাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিন মফস্বল সাংবাদিকতার অহংকার। সাংবাদিকতায় তার হাত ধরে অসংখ্য সাংবাদিক তৈরি হয়েছে। অথচ রংপুরে তার কোনো স্মৃতিচিন্থ, তার নামে স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠান নেই। আমরা চাই রংপুর জেলা প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশন এই গুণী সাংবাদিককে নিয়ে কিছু করুক।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- রংপুর প্রেসক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রেজাউল ইসলাম বাবু, কার্যকরী সদস্য খন্দকার মোস্তফা সরওয়ার, দৈনিক দাবানল এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মোস্তফা মোর্শেদ, দি নিউজ টুডের রংপুর করেসপন্ডেন্ট একেএম শরিফুজ্জামান বুলু, বণিক বার্তার রংপুর প্রতিনিধি সাব্বির আরিফ মোস্তফা পিয়াল, ডিবিসির রংপুর ব্যুরো প্রধান নাজমুল ইসলাম নিশাত, আরটিভির রংপুর প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম বাদল, দৈনিক প্রতিদিনের বার্তার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মোশারেফ হোসেন রাজু প্রমুখ।
এদিকে স্মরণ সভা শেষে নগরীর শাহী মসজিদে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে প্রেসক্লাবের উদ্যোগে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
প্রসঙ্গত, সাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিন ১৯৯৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর গাইবান্ধার ফুলছাড়ির যমুনা নদীতে কালাসোনার ড্রেজিং পয়েন্টে দুটি নৌকাডুবির তথ্যানুসন্ধান করতে গিয়ে ‘শেরেবাংলা’ ফেরি থেকে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়। পরদিন তাকে রংপুর নগরের মুন্সিপাড়া কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। ১৯৪৫ সালের ১৮ জানুয়ারী রংপুরের গঙ্গচড়া উপজেলার মর্ণেয়া ইউনিয়নের এক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৬ সালে তিনি দৈনিক আজাদ পত্রিকা দিয়ে সাংবাদিকতা শুরু করেন।