রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছে তিস্তা নদীর চর টাংরির বাজার এলাকায় বিরোধ মীমাংসা শালিশ শেষে হোটেলে খাওয়ার সময় অপরপক্ষের আঘাতে নিহত হয় হালিম নামে একজন যুবকের। হালিম হারাগাছ মেট্রোপলিটন এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয়রা জানান গতকাল মঙ্গলবার রাতে সে স্থানীয় চর টাংরির বাজারের ফজলুর রহমান ও চান মোহাম্মদের মধ্যে বিরোধ মিটিয়ে রাত ৮টার দিকে সবাই মিলে খেতে গেলে সেখানে আবারো কথাকাটাকাটি এবং এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় ফজলুর রহমানের লোকজন সেখান থেকে তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। এরপর একটি অটোরিকশায় করে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় তারা। পরে হালিমকে রংপুর মেডিকেলে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।
এব্যাপারে রংপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কর্মকর্তা এডিসি ডিবি উত্তম প্রসাদ পাঠক বলেন, আব্দুল হালিমের বাড়ির সামনে একটি অ্যাম্বুলেন্স থেকে তার লাশ উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর থানায় পাঠানো হয়। সালিশ বৈঠক যেখানে বসেছিল, সেটি লালমনিরহাট সদর থানার অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় সেখানেই মামলা হবে।
তিনি আরো বলেন, “আব্দুল হালিম হারাগাছের একটি বিড়ি ফ্যাক্টরির মালিক। তামাক কেনাবেচার জের ধরে ফজলুর ও চাঁনের সঙ্গে তার পরিচয় ছিল। এর জেরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে।