বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতির রংপুর জেলা কমিটির প্রথম সম্মেলন আজ ৯ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার পায়রাবন্দ জোতষ্ঠি শিশু স্কুলে। বেলা ১১ টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলন উদ্বোধন ঘোষনা করেন বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান কবির। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন প্রস্তুতি কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুর রহমান। সম্মেলনে রংপুর সদর, মিঠাপুকুর, পীরগাছা থেকে কৃষক কর্মীরা অংশ গ্রহণ করেন। এদের মধ্যে ক্ষুদ্র জাতীসত্বা ও নারী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান কবির, অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সদস্য মোঃ কামরুজ্জামান সাজ, কৃষক সংগ্রাম সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মজিবার রহমান, শ্যামপুর চিনি কল আন্দোলনের নেতা সালাহউদ্দিন বাবু, কৃষক সংগ্রাম সমিতির সদর উপজেলা কমিটির নেতা জার্মান, আব্দুল কাদের, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, মিঠাপুকুর কমিটির মোঃ আবুল হোসেন, ক্ষুদ্র জাতি সত্ত্বা ওরাউ এর প্রতিনিধি আব্রাহাম, বিশ্বনাথ, পীরগাছা কমিটির মোঃ বাবলা প্রমূখ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন দেশে শতকরা ৭২ ভাগ ভূমিহীন ও দরিদ্র কৃষক। এদের হাতে জমি ও কাজ প্রয়োজন। প্রতিনিয়ত কৃষক উৎপাদনে লোকসান দিয়ে ভূমিহীন কৃষকের সংখ্যা বৃদ্ধি করে চলেছে। উৎপাদনের উপকরণের দাম বেশী ফলে উৎপাদন খরচ বেশী হয়। উৎপাদন খরচ কমানোর জন্যে সার, ডিজেল, বীজ, সেচে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ কৃষককে বিনামূল্যে দিতে হবে। এই দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান। চলতি আলু উৎপাদন মৌসুমে কৃষকদের আলু বিক্রয় ও বিপণনে সুষ্টু ব্যবস্থাপনার দাবি জানান তিনি। সেই সাথে আলু, টমেটো, পেঁয়াজ চাষের অ লে সরকারি ভাবে কোল্ডষ্টোরেজ নির্মাণের দাবি জানান।
তিনি আরো বলেন শ্যামপুর চিনি কলসহ ৫টি চিনি কলের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে, পর্যায়ক্রমে সবকয়টি চিনিকল বন্ধ করে দেয়ার চক্রান্ত চলছে। ইতিপূর্বে বন্ধ করা হয়েছে পাটকল। চিনিকলের সাথে ২ লক্ষ আঁখ চাষি প্রায় ২০ হাজার একর জমিতে আখ চাষ করে। কৃষি ভিত্তিক শিল্প সমূহ বন্ধ করে দিয়ে কৃষির উন্নতি সম্ভব নয়। কৃষি যান্ত্রিকিকরণের নামে বহুজাতীক কোম্পানি ও সা¤্রাজ্যবাদী পুঁজি বিনিয়োগের পাঁয়তারা চলছে তা রুখে দারাতে হবে।
ভূমিহীন কৃষকের হাতে কাজ ও জমির দাবিসহ কৃষক সংগ্রাম সমিতির ৭ দফা দাবিতে কৃষক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
সম্মেলনে আব্দুর রহমানকে সভাপতি ও মজিবার রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের সমাপ্তি ঘোষণা হয়।