বিরোধীদলীয় অবস্থানে যেতে চাইছে জাতীয় পার্টি। দলটি মনে করছে, সংসদের বিরোধী দলে থাকলেও সত্যিকার অর্থে ‘বিরোধী দলের’ ভূমিকা তারা পালন করতে পারছে না। বরং বেশির ভাগ সময় সরকারি দলকে সমর্থন করতে গিয়ে জনমনে কার্যত তারা সরকারের ‘বি টিম’ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। এতে রাজনৈতিকভাবে জাপা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দলের আলাদা কোনো বৈশিষ্ট্য জনমনে থাকছে না।
দলের নীতিনির্ধারকদের মতে, এভাবে চলতে থাকলে আস্তে আস্তে মানুষের কাছ থেকে দূরে চলে যাবে জাতীয় পার্টি। জনগণের মধ্যে একসময় কোনো সমর্থনই থাকবে না। এ কারণে সংসদ থেকে পদত্যাগ না করেই আস্তে আস্তে সরকারের গণ্ডি থেকে বের হয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে দলটি।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি শনিবার দলটির সংসদ সদস্যদের সভা ডেকে এমন পরিস্থিতির কথা ব্যাখ্যা করেছেন পার্টির নীতিনির্ধারকরা। দলের বনানী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় জাপা চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরসহ (জি এম কাদের) মোট ১৮ জন সংসদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সংসদ সদস্য না হলেও মহাসচিব হিসেবে ওই সভায় বক্তৃতা করেন জিয়া উদ্দীন আহমেদ বাবলু। অসুস্থ থাকায় প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ ও ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ততার কারণে কাজী ফিরোজ রশীদ সভায় উপস্থিত ছিলেন না।
সভায় দেওয়া বক্তব্যে জি এম কাদের ও মহাসচিব জিয়া উদ্দীন বাবলুসহ বেশির ভাগ সদস্য সরকারের সঙ্গ ছেড়ে সত্যিকারের বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকা উচিত বলে মত প্রকাশ করেন। তাঁরা এ বিষয়ে দলের সংসদ সদস্যদের দিকনির্দেশনা দেন, যাতে তাঁরা সরকারি দলের পক্ষে অবস্থান নিয়ে কথা না বলেন। দু-একজন সদস্য মহাজোটের শরিক হওয়ার সময় সরকারি দলের সমর্থন নেওয়ার বিষয়টি উত্থাপন করলেও বিরোধীদলীয় অবস্থানে যাওয়ার বিষয়ে তাঁরা দ্বিমত করেননি বলে জানা যায়।