অনলাইন ডেক্সঃ
এক সময়ের খরস্রোতা তিস্তা নদীতে এখন হাঁটু পানি। কিছুদিন আগেও নৌকা যোগে তিস্তা পাড়ি দিতে হয়েছে। এখন পানি না থাকায় পায়ে হেঁটেই পারাপার হচ্ছে দুই পাড়ের বাসিন্দারা। নদীর বিভিন্ন স্থানে জেগে উঠেছে অসংখ্য চর-ডুবোচর। পানিপ্রবাহ না থাকায় নৌপথ প্রায় বন্ধের পথে। প্রতিদিনেই পানি কমতে থাকায় নদী শুকিয়ে এখন আবাদি জমিতে রূপ নিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নে তিস্তা নদীর চরাঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, পায়ে হেঁটেই তিস্তা পাড়ি দিচ্ছে দুই পাড়ের বাসিন্দারা। তিস্তার বুকে জেগে ওঠা ধু ধু বালুচরে এখন সবুজের সমারোহ। পানিপ্রবাহ না থাকায় ও পলি জমে এক সময়ের খরস্রোতা তিস্তা নদী আবাদি জমিতে পরিণত হয়েছে। কৃষকরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন ফসল পরিচর্যায়।
তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা জানান, তিস্তা নদী এখন অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ষা মৌসুমে পানির প্রয়োজন নেই তবুও সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যায়। আবার শুষ্ক মৌসুমে যখন পানির প্রয়োজন তখন পাওয়া যাচ্ছে না।
উলিপুর থেকে পায়ে হেঁটেই বেশির ভাগ নদী পাড়ি দিয়ে আসা গাবুরা গ্রামের আজিরন নেছা জানান, ‘তিস্তাতে এখন কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও আরো কম। নদীতে একাধিক পথ তৈরি হয়েছে। কোথাও হেঁটেই যাওয়া যায় আবার কোথাও সামান্য একটু নদী নৌকা দিয়ে পার হতে হয়।’
শিবদেব চরের কৃষক মতিয়ার রহমান বলেন, তিস্তা শুকিয়ে যাওয়ায় চরে এখন বিভিন্ন ফসলের আবাদ হচ্ছে। চরের পলি ও দো-আঁশ মাটিতে চাষাবাদ হচ্ছে পিঁয়াজ, রসুন, বাদাম, মিষ্টি কুমড়া, ভুট্টা ও গমসহ নানা জাতের ফসল। তবে তিস্তা নদীতে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় বোরো চাষিরা বিপাকে রয়েছেন সবচেয়ে বেশি। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় বোরো চাষ কঠিন হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় পানিয়াল ঘাটের মাঝি হাসমত আলী বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারো তিস্তা পানি শূন্য হয়ে পড়েছে। আগের মতো নৌকা চালানো যাচ্ছে না। ফলে লোকজন পায়ে হেঁটে তিস্তা পাড়ি দিচ্ছে।
জানতে চাইলে পীরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিমুর রহমান বলেন, ‘গত কয়েক বছর থেকে শুষ্ক মৌসুমে তিস্তায় পানি প্রবাহ থাকে না। ফলে কৃষকেরা বিপাকে পড়ছে। তবে তিস্তার জেগে ওঠা চরে এখন বিভিন্ন ফসলের আবাদ হচ্ছে। তথ্য কালের কন্ঠ