ঠাকুরগাঁওয়ে নারী নির্যাতনের মামলা তুলে নিতে স্ত্রীকে প্রাণ নাশের হুমকি ও নানা ধরনের হয়রানীর অভিযােগ পাওয়া গেছে।
নির্যাতনের শিকার ওই স্ত্রী গত ১৯ ফেব্রুয়ারী তার স্বামী সাইফুর রহমান ফারুকের বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করলে ওইদিন রাতেই পুলিশ তাকে আটক করে। এর পর থেকেই অভিযােগকারী স্ত্রী অহিদা পারভিনকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছে ফারুকের পরিবারের লােকজন।
ভুক্তভােগী স্ত্রী অহিদা পারভিন জানান, ২০১৬ সালর সেপ্টেম্বর মাসে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ফকদনপুর গ্রামের শামসুল হকের পুত্র সাইফুর রহমান ফারুকের সাথে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই আমার স্বামী ও তার পরিবারের লােকজন আমাকে যৌতুকের ৫ লক্ষ টাকার জন্য চাপ দিতে থাকে এবং শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। আমি একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরী করি এবং প্রাইমারী ট্রেনিংয়ের জন্য আমাকে ঠাকুরগাঁও পিটিআই এর পাশে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকত হয়। ঘটনার দিন গত ৫ ফেব্রুয়ারী আমার স্বামী এবং তার পরিবারের লােকেরা আমার ওপর অমানবিক অত্যাচার চালায়। আমি ও আমার মেয়ে দুজনই আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বিলম্ব করায় মামলাটি করি। মামলা করার পরে পুলিশ ফারুককে আটক করে । এর পর থেকেই ফারুকের পরিবারের লােকেরা আমাকে রাস্তাঘাটে বিভিন্ন ভাবে প্রাণ নাশের হুমকি দিতে থাকে এবং আমাকে হয়রানি করার উদ্দেেশ্যে তারা বিভিন অনলাইন পত্রিকায় আমার ছবি ব্যবহার করে মিথ্যা ও বানােয়াট সংবাদ প্রকাশ করে।
এ ব্যপারে ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তানভীরুল ইসলাম জানান, আমরা অহিদা পারভিনের মামলাটির প্রক্ষিতে তার স্বামী ফারুককে সেদিন রাতেই গ্রেফতার করি। অহিদাকে প্রান নাশের হুমকির বিষয়ে লিখিত অভিযাগ পেলে সে অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।