ওসি বলেন, “স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে টাঙ্গন নদীর পশ্চিম পাড় থেকে সাইজুলের এবং পূর্ব পাড় থেকে আসমার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
“সুরতহাল রিপোর্ট করার সময় সাইজুলের মুখে বিষের আলামত পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন।পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটছে বলে ধারণা এ পুলিশ কর্মকর্তার।
ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আসমা সাইজুলের দ্বিতীয় স্ত্রী।প্রথম স্ত্রীর ঘরে দুই মেয়ে সন্তান আর দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে এক ছেলে সন্তান রয়েছে।তিনি বলেন, সাইজুলের বসতভিটাটি দ্বিতীয় স্ত্রী তার ছেলের নামে লিখে দেয়ার জন্য সাইজুলকে চাপ প্রয়োগ করছিলেন।অন্যদিকে প্রথম স্ত্রী তার মেয়েদের নামে ওই বসতভিটা লিখে দেয়ার জন্য সাইজুলকে চাপ দিতে থাকে।
“পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করছি।এদিকে নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি।
