বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও যুবদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সেতুমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আন্দোলন দেখতে চান-পুলিশ রেখে রাজপথে আসেন। দেখেন, জনগণ কি আন্দোলন দেখাতে পারে কি না।
মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে কাদেরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আলাল এ কথা বলেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণা শুনতে শুনতে জনগণও এখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। বিএনপির আন্দোলনের লক্ষ্য নির্ধারণ করতেই ১২ বছর চলে গেলো, কিন্তু আন্দোলন হবে কোন বছর?’
উত্তরে তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের ব্যঙ্গ করে বলেছেন, ‘১২ বছর হয়ে গেল আন্দোলন কবে হবে।’ ওবায়দুল কাদের সাহেব আন্দোলন তো আপনাদের ঘরে শুরু হয়েছে টের পাচ্ছেন না? আপনার ভাই কাদের মির্জাই তো আন্দোলন। আপনার আত্মীয় নিক্সন চৌধুরী তো আন্দোলন। আপনার শামীম ওসমানই তো আন্দোলন। আপনার যে এসপি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে মারে, পিটায় সেটাই তো আন্দোলন। আপনাদের যে এমপি স্বাস্থ্য সচিবকে মেরে পুকুরে ফেলে দেয় ওটাই তো আন্দোলন। আর কতো আন্দোলন দেখতে চান? আন্দোলন দেখতে হলে সরকারি বাসা ছাড়েন। পুলিশ ব্যারিকেড ছেড়ে রাস্তায় বের হন। দেখেন জনগণ কি আন্দোলন দেখাতে পারে।
আলাল বলেন, এখন টিকা নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছেন। দেশের সকল জনগণ করোনামুক্ত হোক এটা আমরা চাই। কিন্তু আপনাদের তো সব জায়গায় দুই নম্বরি। মহিলা দলের এক বোন, তার নাম সাদিয়া বিলকিস খান। জাতীয় পরিচয়পত্র বানানোর জন্য তিনি নাম জমা দেন। এই ভুয়া নির্বাচন কমিশন থেকে তার নাম আসলো সাদিয়া বিস্কুট খান। এইতো দেশের অবস্থা। দেশটাকে তো আজ সেই জায়গায় নিয়ে গেছেন।
আয়োজক সংগঠনের সদস্য মীর সরাফত আলী সপুর সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম প্রমুখ।