উত্তরাঞ্চলে তীব্র শীত
২৫ জানুয়ারী ২০২৫, দুপুর ১০:৫০ সময়
রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলে শীতের তীব্রতা ও ঘন কুয়াশার দাপট বেড়েছে। উত্তরের জেলাগুলোতে শীতের দাপটে কাবু জনপদ। ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে হিমেল বাতাস, তিন চারদিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যের। এতে ভোগান্তি আর দুর্ভোগে পড়ছে শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষ।শীত আর প্রচণ্ড ঠাণ্ডা উত্তরের জেলাগুলোতে আরো তিন-চারদিন থাকতে পারে বলে রংপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস। আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রার উন্নতি হলেও আবার মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে অধিদপ্তর।
রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, 'ঘন কুয়াশা ও বাতাসের আর্দ্রতা বৃদ্ধির কারণে উত্তরের জেলাগুলোতে ঠাণ্ডা আর মধ্যরাত থেকে ঘন কুয়াশা বেড়েছে। এছাড়া, দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না।'
আজ শনিবার (২৫ জানুয়ারি ) সকাল ৬ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ এবং গত ২৪ ঘণ্টায় বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩ কিলোমিটার।
রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের মৃদু শৈত্য প্রবাহ বইয়ে যাচ্ছে। এ অঞ্চলে সকাল ৬ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে- পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রী, নীলফামারির সৈয়দপুরে ১১ দশমিক ০ ডিগ্রী, রংপুরে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রী, নীলফামারীর ডিমলায় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রী, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।এছাড়া, দিনাজপুরের তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি, ঠাকুরগাঁওয়ে ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি, লালমনিরহাটে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি ও গাইবান্ধায় ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
রংপুর বিভাগের দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।রংপুর মহানগরীতে আসা অটোচালক দুলাল মিয়া ও শ্রমজীবী শওকত হোসেন বলেন, “গত তিন-চারদিন ধরে রংপুরে তীব্র শীত। যাত্রী ও কাজ নেই বললে চলে।